
গিন্নি সকালে বলল, আজকে আমাদের খুব সিম্পল খাবার হবে। ডাল-আলুভর্তা-বেগুনভাজি; আর কিচ্ছু না। বললাম, এক্সসেলেন্ট! সেই হিসাবে সে বানিয়েও ফেলল। আমি স্বভাববসত ছবি তুলতে লাগলাম। খাবার সার্ভ করার সময় গিন্নি দ্বিধা করতে থাকে; বলল, বাচ্চাদের চিকেন দি?
– একটা দিন ট্রাই করো?- বললাম।
– ডিম ভাজি করবো?
– আশ্চর্য! পারলা না তাহলে চ্যালেঞ্জটা নিতে?
– বাচ্চারা খাবে তো?
তবে সে চ্যালেঞ্জ নিলো। ওগুলা বেড়ে দিতেই বিত্ত দখিনা দুইজনই প্রতিবাদ শুরু করল, আমরা এসব কক্ষনো খাবো না, নেভার!
– আচ্ছা ঠিক আছে, কয়েক নলা মুখে নে; যদি ভালো না লাগে তোদের চিকেন দিবো- বললাম।
তাদের মা খাইয়ে দিতে থাকে দুজনকে। বাংলা খাবার তারা নিজ হাতে খাবে না। ক্যানাডিয়ান খাবার হলে তখন খাবে নিজ হাতে, মইষের মতো। মশলা দু-চক্ষে দেখতে পারে না। কয়েক নলা খাবার পর জিজ্ঞেস করি, কেমন লাগছে?
– ভালোই..
তারপর বাঙালি স্বাদ তাদের ছেঁকে ধরলো। গড়ে যা খায়, তারচাইতে বেশি খেলো। ভাত নিলো। শেষ করলো একদম চেটেপুটে!
আবার জিজ্ঞেস করলাম, কেমন বুঝলি?
দুজনই উত্তর দিলো, ফার্স্ট ক্লাস!..লাভ ইউ.. থ্যাঙ্ক ইউ..উম্মা..!
মনে মনে বললাম, আরেকটু বড় হ, বুঝবি বাঙালি খাবার কি জিনিস!
অটোয়া, কানাডা