
মনে আছে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ভৌতিক ছবি ‘দি অরফান’-এর কথা? মনে আছে এসথার-এর কথা, যে হরমোন ডিস-অর্ডার হাইপোপিটুইটারিজম ব্যবহার করে একজন ৩৩ বছর বয়সী নারী হতে চায়। ওটা তো ছিল গল্প। আজ আপনাদের শোনাব এমনই একটি বাস্তব কাহিনি। আমরা জানব শনা রে’র কথা।
যদিও খর্বাকৃতির মানুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় ঘটে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীর ও চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, শনা রে’র ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি।
শিশু অবস্থায় তাঁর মস্তিষ্কে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই কর্কট রোগ থেকে সেরে ওঠার পর তাঁর আর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটেনি, কিন্তু বয়স বেড়েছে। এখন ২২ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটি আটকে আছেন সেই আট বছরের ‘শিশু শরীরে’।
কেমোথেরাপিই তাঁর পিটুইটারির এ ক্ষতি করেছে, এমন কোনো শক্ত প্রমাণ কিন্তু চিকিৎসকদের কাছে নেই। তবে ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ ধরনের জটিলতা হতে পারে বলে জানান তাঁরা।
শনা ব্যাখ্যা করেন, ‘আপনি আমার দিকে তাকালে ভাববেন আমি একটি সাধারণ মেয়ে। একটি সাধারণ মেয়ের মতো আমি আমার পরিবারের সঙ্গে মজা করি, দুষ্টুমি করি। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি মেয়ে নই। আমি একজন নারী, ২২ বছর বয়সী একজন নারী, যে আট বছরের একটি মেয়ের শরীরে আটকা পড়ে আছে। যদিও আমি শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারিনি, কিন্তু আমি চাই একজন প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করতে। আর আমার যা ভালো লাগে, আমি তা-ই করি।’
‘আই অ্যাম শনা রে’র প্রিমিয়ার হয় গত বছরের ১১ জানুয়ারি। টিএলসি ওই ডকুমেন্টারিতে শনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে তুলে ধরে। তারা একটি মেয়ের মতো দেখা একজন প্রাপ্তবয়স্কের বাঁচার চেষ্টার ওপর আলো ফেলে। বারে মদ্যপান করা, ট্যাটু করা বা ব্লাইন্ড ডেটে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো তাঁর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং—এমনটাই দেখানো হয় সেই তথ্যচিত্রে।