
আমার পরিচিত কেউ কেউ সপ্তাহে তো দুরের কথা বছরেও একবার একটা বই পড়ত না। এমকি পত্রপত্রিকাও পড়তনা। প্রশ্ন হল: তাহলে তাঁরা তথ্য কোথা থেকে পেত? উত্তর হল: টেলিভিশন দেখে আর লোকমুখে শুনে। জীবনে সফলতার জন্য বই যে পড়তেই হবে বিষয়টা তেমনও না। বই না পড়েও জীবনে অনেকে সফল হয়েছেন। আবার সফলতাও একেক জনের কাছে একেক রকম। যাইহোক, সে আলোচনা এখানে করছিনা।
ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার আগে বিশ্বের তথ্য ভান্ডারে মানুষের প্রবেশাধিকার বলা চলে সীমিতই ছিল। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় পর সোসাল মিডিয়ায় মানুষের বিচরন বেড়ে যায়। ফলে পুথিবীর অবারিত তথ্য ভান্ডরের সাথে মানুষের সংযোগ বেড়েছে। এবং মানুষে মানুষে সংযোগও বেড়ে যায়। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, সোসাল মিডিয়ার কারনে মানুষের মিডিয়া লিটারেসি বেড়েছে। একাকিত্বও কমেছে। কারন যারা পড়ালেখা জানেনা তারা ভিডিও দেখে অনেক কিছু শিখে নিচ্ছে। এটাও একধরনের লিটারেছি। আর পড়ালেখা জানে কিন্তুু বছরে একলাইনও পড়ত না তারাও এখন একটু একটু পড়ে এবং দুই এক লাইন লেখে। সেটা সোসাল মিডিয়ার অবদান। সোসাল মিডিয়া দেশে দেশে ম্যাস লিটারেসি রেট বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। যদিও অনেক সময় সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভান্ত্রিকর তথ্য ছড়ানো হয় যা নানা রকম সমস্যার তৈরী করে। এটা থেকে সাবধান থাকলে সোসাল মিডিয়া গনশিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
টরন্টো, কানাডা