
গোয়ালন্দ শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে সদ্য নিযুক্ত তৎকালীন শিক্ষা উপ মন্ত্রী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর গণসংবর্ধনা। সংবর্ধনা মন্চে উপবিষ্ট তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ীর প্রথম জেলা প্রশাসক সহিদ উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল হক হাফিজ ও মুন্সী আব্দুল লতিফ। পেছনে দাঁড়ানো খন্দকার আব্দুল মুহিত হীরা, মোতাহার হোসেন, এম এ কামাল, ফকীর নুরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন রোকন উদ্দীন আহমেদ।
সভাশেষে আমাদের বাসায় প্রায় তিনশত লোকের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। আমার জানামতে শুধুমাত্র গোয়ালন্দের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে এসে সরকারী সফর করে গোয়ালন্দ থেকেই আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যাওয়া কোন মন্ত্রীর সেটাই সম্ভবত প্রথম কোন কর্মসুচী ছিল। মন্ত্রীর কাছ থেকে অবশ্য গোয়ালন্দের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যা অনুদান নিতে পেরেছিলাম তা আমার আব্বার কাছ থেকে নিয়ে প্রোগ্রামের জন্য খরচ করার টাকার অনেক কম ছিল। সেদিনের সেই স্মরণীয় প্রোগ্রাম নিয়ে বেশ কিছু ঘটনা যেমন দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরী থেকে নামার পর মন্চ পর্যন্ত মন্ত্রীর গাড়ীতে আমি থাকবো নাকি ডিসি সাহেব থাকবেন ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিশেষ করে জেলা প্রশাসক ও সরকার দলীয় জেলা নেতাদের কিছু আচরণের স্মৃতিগুলো এক সময়ে স্মৃতিচারণমূলক বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে।
উল্লেখ্য তখন আমার বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২১ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
কদিন আগে বাবলু ভাই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জেনেছি। আমি তাঁর রোগমুক্তি কামনা করি।
স্কারবোরো, কানাডা