কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমান হারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর মর্ডানার ৫৩ হাজার ডোজ টিকা কানাডার অন্টারিও প্রদেশে এসে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে আরও ৫৬ হাজার ডোজ টিকা মর্ডানা থেকে এসে পৌঁছার কথা রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে টরন্টো, পিল, ইয়র্ক, উইন্ডসর-এসেক্সের দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার করোনা টিকা প্রদান শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, হটস্পট বিবেচনায় নতুন বছরের প্রথম তিন সপ্তাহে সেখানকার সকল বাসিন্দা, কর্মচারি ও পরিচর্যাশীলদের তা দেয়া হচ্ছে। ২১ জানুয়ারির মধ্যেই টরন্টো, পিল, ইয়র্ক, উইন্ডসর ও এসেক্স সিটিতে অবস্থিত দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমের সকলেই টিকা পাচ্ছেন বলে অন্টারিও সরকার জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে এসব স্থানের দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার করোনা টিকা প্রদান শুরু করা হয়েছে। তবে সরকারি ভাষ্যে কতজন তাতে টিকা পাচ্ছেন, সে সংখ্যাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানানো না হলেও প্রদেশের টিকা টাস্ক ফোর্সের প্রধান রিক হিলিয়ার বলেছেন, তাতে ৫৫ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ হাজার ডোজ টিকার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে এবং আরও ১ হাজার ডোজ টিকা দীর্ঘমেয়াদী সেবাশ্রমে প্রদানের কথা, যা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৬টি সেবাশ্রমে দেয়া হয়েছে। এক্ষত্রে মর্ডানা টিকা দুটির ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে দেয়া হচ্ছে। আর মর্ডানার ওই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে পাবলিক হেলথ্ ইউনিটের সম্প্রসারণ কার্যক্রমটি অঙ্গাঙ্গী জড়িত।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রোগ প্রতিরোধক অধ্যাপক কলিন ফার্নেস মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদী সেবাশ্রমের সবাইকে সেভাবে টিকাদানটি হবে একটি ‘মাইলস্টোন’ বা মাইলফলক তুল্য।