10.3 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

অত্যবশ্যকীয় সেবা চালু রাখতে টরন্টোয় বাড়তি কর্মী মোতায়েন

অত্যবশ্যকীয় সেবা চালু রাখতে টরন্টোয় বাড়তি কর্মী মোতায়েন - the Bengali Times
টরন্টো সিটি মেয়র জন টরি

কোভিড-১৯ মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যেও যাতে অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমুহ চালু রাখা যায় সে লক্ষ্যে কয়েকশ কর্মী মোতায়েন করেছে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অসুস্থতা ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিচ্ছিন্নবাসের কারণে উচ্চ সংখ্যায় অপরিকল্পিত কর্মীর অনুপস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সেবায় সহজায়তার লক্ষ্যে কিছু কর্মী নিয়োগ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই কর্মীদের অনেককে ২০২০ সালে প্রথম ঢেউয়ের সময়ও মোতায়েন করা হয়েছিল। উচ্চ সংখ্যায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের কারণে সে সময়ও সেবা অব্যাহত রাখা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।

- Advertisement -

তবে নিয়োগদাতাদের জন্য এবারের পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং দৈনিক ১০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। সিটি ব্যবস্থাপক ক্রিস মারে বলেন, টরন্টোর বাসিন্দা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ, সতর্ক ও অবগত রাখার ব্যাপারে তৎপরতা চালিয়ে যাবে সিটি কর্তৃপক্ষ। এই পদক্ষেপ উচ্চ সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়া শ্লথ করে আনতে সহায়তা করবে। আমরা জানি যে ভ্যারিয়েন্টটি সব খাতে ও প্রতিষ্ঠানেই কর্মী অনুপস্থিতি তৈরি করছে এবং আমাদের জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমুহ যাতে চালু থাকে সেজন্য টরন্টো পাবলিক সার্ভিসকে আমরা মোতায়েন করছি। এর মধ্য দিয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে টরন্টো বৈশি^ক নেতৃত্ব ধরে রাখতে চায়।

মহামারির শুরু থেকে যেসব কর্মী বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন তাদেরকে অফিসে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জানুয়ারিতে সিটি হল ও সিভিক সেন্টার পুরোপুরি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রদেশে দ্রুত ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পরিকল্পনাটি স্থগিত করতে বাধ্য হয় তারা।
কিছু কর্মী পুনঃমোতায়েনের পাশাপাশি ৪ জানুয়ারি থেকে কিছু অজরুরি কাউন্টার সেবা বন্ধ করে দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে বসে কাজ করা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে অথবা জরুরি কাজে পুনঃমোতায়েনে তারা যাতে সহায়তা করতে পারেন সেটাই এর লক্ষ্য।

এদিকে কর্মীদের পরীক্ষায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতা আগের চেয়ের বাড়ানো হয়েছে। জরুরি সেবা, পুলিশ, দমকল কর্মী, প্যারামেডিকস, পানি ও জনস্বাস্থ্য সেবার কর্মীদেরও এর আওতায় আনা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র লং-টার্ম কেয়ার হোমের মতো খাতেই র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবহার ছিল।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles