
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারে অন্টারিও। বর্তমানে প্রথম ডোজের চার মাস পর দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন অন্টারিওর নাগরিকরা।
চলতি মাসে ফাইজারের কাছ থেকে অন্টারিওর প্রতি সপ্তাহে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ডোজের বেশি ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরের মাসে পেতে পারে প্রকি সপ্তাহে ৯ লাখ ৩৮ হাজার ডোজের বেশি। ভ্যাকসিনের বর্ধিত এ সরবরাহ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে বর্তমানে চার মাসের যে ব্যবধান আছে তা কমিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট।
সোমবার তিনি বলেন, পুরো মে মাস জুড়ে ফাইজারের কাছ থেকে আমরা বড় অংকের ভ্যাকসিন সরবরাহ পাব। এর ফলে লোকজনকে দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য আগের মতো অতোটা সময় অপেক্ষা করতে হবে না। এটা হলে জনগণকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য নতুন সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধান কোম্পানি নির্দেশিত সময়ের মতোই হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ২১ দিনের ব্যবধানের কথা উল্লেখ করেছে ফাইজার। মডার্না দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সুপারিশ করেছে চার সপ্তাহ এবং অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা চার থেকে ১২ সপ্তাহ। ভ্যাকসিন সরবরাহে ধীরগতির কারণে অন্টারিও দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়াতে বাধ্য হয়। তবে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
আগামী কয়েক সপ্তাহ ফাইজার-বায়োএনটেকের কাছ থেকে ভ্যাকসিনের বড়সড় চালান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও অন্য কোম্পানিগুলোর সরবরাহ এখনও কম। ১০ মে শুরু হওয়া সপ্তাহে মডার্নার কাছ থেকে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশা করছে অন্টারিও। তবে সামনের মাসগুলোতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কি পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেটি এখনও অনিশ্চিত।
এই যখন অবস্থা তখন ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশনের কাছে ভ্যাকসিন মিশ্রণের অনুমোদন চেয়েছে অন্টারিও। অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল অফিসার ডা. বারবারা ইয়াফি বলেন, ভ্যাকসিন মিশ্রণের কার্যকারিত নিয়ে যুক্তরাজ্যে একটি গবেষণা চলছে। সেই গবেষণার ফলাফলের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তবে গবেষণাটির ফল পেতে আগামী মাস পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।