6.2 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

এই অভ্যাসগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

এই অভ্যাসগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় - the Bengali Times
প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাক বা হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মারা যান

প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাক বা হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মারা যান। হার্ট যদি কোন কারণে অসুস্থ হয় তবে নানা সংকেত দিয়ে আমাদের জানান দেয়। অনেক সময় আমরা সাধারণ কোন রোগ ভেবে তা উপেক্ষা করি। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ব্যায়াম, ভালো ঘুম এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। যেগুলো আপনাকে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে কার্যকর বলে প্রমাণিত।

চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী-

- Advertisement -

> হাসি-খুশি থাকা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর একটি কার্যকরী উপায়। কারণ হাসলে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপকেও ভালোভাবে পরিচালনা করে এই প্রণবন্ত ভাব।

> বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন ৪০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। কারণ সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন ব্যায়াম আপনার কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ওজন হ্রাস, রক্তে শর্করা, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করার একটি ভালো উপায়। ব্যায়াম আপনার যৌন জীবন উন্নত করতেও সাহায্য করে।

> চিকিৎসকরা হার্টের সুস্থতার জন্য বিশ্রামের প্রতি জোর দিতে বলেন। তাদের মতে, ভালো ঘুম মানসিক ও হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে কমপক্ষে অবশ্যই ৭-৮ ঘণ্টার ঘুমানোর পরামর্শ দেন তারা।

> ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধূমপান ও অ্যালকোহলের কারণে হৃদরোগের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যানগুলোর দিকে তাকিয়ে চিকিৎসকদের মত, ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে অধূমপায়ীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ মানুষ আকস্মিক হৃদযন্ত্রের মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েন। শুধু তাই নয়, এই বদ অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট ফেইলিউরের মতো অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়াতেও দায়ী।

> খাবারে তেলের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি মাসে অলিভ, ক্যানোলা এবং ফ্ল্যাক্সসিডের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এর বাইরে প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত সবুজ শাক, বাদাম ও প্রোটিন খাওয়া উচিত।

> চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক পরীক্ষা, রক্তের পরিপূর্ণ গণনা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, কিডনি, লিভার ও থাইরয়েডের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইসিজি নিয়মিত করতে হবে। তাহলেই বিপদ আসার আগে জানা যাবে হার্টের অবস্থা।

সূত্র: এই সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles