
ভ্যাকসিনেশনের বড় অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি জানান, কানাডায় মারাত্মক অসুস্থতার সংখ্যা কমে আসার পেছনে ভ্যাকসিনেশনের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার মানুষ হাসপাতালে গিয়ে কোভিড চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ডা. তেরেসা ট্যাম। ভ্যাকসিনেশনেও বড় অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন তিনি। পূর্ণ বয়স্ক প্রায় ৫০ শতাংশ কানাডিয়ান অন্তত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন। ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, ভ্যাকসিনেশনের এই গতি অব্যাহত থাকলে এই গ্রীষ্মে হয়তো আমরা আউটডোর কার্যক্রম করতে পারব। অনেকদিন ধরেই এ থেকে বঞ্চিত আছি আমরা।
এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো কানাডায় দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজারের নিচে নেমেছে। এর মধ্যে দিয়ে কানাডা তৃতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায় পার করে এসেছে বলে মনে করছেন তেরেসা ট্যাম। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, উষ্ণ আবহাওয়ায় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আউটডোরে ছোট পরিসরে জড়ো হওয়া যাবে। অর্থাৎ পার্কে পিকনিক অথবা আউটডোরে খেলাধুলা করার একটা সুযোগ মিলবে। এজন্য অবশ্য কম করে হলেও ৭৫ শতাংশ কানাডিয়ানকে অন্তত এক ডোজের ভ্যাকসিন দিতে হবে। এদের মধ্যে ২০ শতাংশ আছেন যারা দুই ডোজের ভ্যাকসিনই নিয়েছেন। ট্যামের ভাষায়, ভ্যাকসিনেশনের প্রথম যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা অর্জনের পথে রয়েছি আমরা।
এই ফলে আরও বেশি ইনডোর কর্মকা-ের অনুমতি দিতে হলে পূর্ণ বয়স্ক অন্তত ৭৫ শতাংশ কানাডিয়ানকে দুই ডোজের ভ্যাকসিনই দিতে হবে। এসব ইনডোর কার্যক্রমের মধ্যে আছে কলেজের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, অফিসে কর্মীদের ফিরিয়ে আনা ও একাধিক পরিবার মিলে ছুটির দিন উদযাপন।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, ভালো একটা গ্রীষ্ম ও শরৎকাল পেতে চাইলে নিজেদের ও কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য দরকারি সবকিছুই আমাদের করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে হবে এবং মহামারির অবসান ঘটাতে হবে।
জনপ্রশাসন ও ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনান্দ বলেন, ভিক্টরি ডের আগেই ফাইজার ও মর্ডানার কাছ থেকে ৪৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ফাইজার। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসবে ১৪ লাখ ডোজ। মডার্নাও আগামী সপ্তাহে ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কানাডায় পাঠাচ্ছে।