
সীমিত সরবরাহের মধ্যে সর্বোচ্চ সুফল পেতে কানাডা এর আগে দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধান ১৬ সপ্তাহ নির্ধারণ করেছিল। ভ্যাকসিন উৎপাদকদের নির্দেশিত সময়ের চেয়ে যা অনেক বেশি। তবে এনএসিআই এখন ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং যাদের স্বাস্থ্য জটিলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদেরকে দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের জন্য প্রদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রথম ডোজ হিসেবে প্রথাগত এবং দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে এমআরএনএ ভ্যাকসিন ব্যবহারের অর্থাৎ ভ্যাকসিন মিশ্রণের অনুমতি দিতে যাচ্ছে কানাডার ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন (এনএসিআই)। অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন মিশ্রণ নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এখন থেকে প্রথম ডোজ হিসেবে কেউ অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেক অথবা মডার্নার ভ্যাকসিনের পক্ষে সবুজ সংকেত দেবে ফেডারেল প্যানেল। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের গতি দ্রুত করতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের মিশনের অনুমতিও দেওয়া হবে। তবে এমআরএনএ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিতে চাইলে তাতে সায় নেই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ইস্যু ও কানাডায় সরবরাহ সংকটের কারণে এর সঙ্গে অন্য ভ্যাকসিনের মিশ্রণ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, প্রথম ডোজ হিসেবে যারা এমআরএনএ অর্থাৎ ফাইজার-বায়োএনটেক বা মডার্নার ভ্যাকসিন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ হিসেবেও তাদেরকে একই এমআরএনএ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে একই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত না থাকলে সেক্ষেত্রে অন্য এমআরএনএ ভ্যাকসিনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
স্পেনের সাম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়া হলেও তাতে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই। যুক্তরাজ্যে পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় ভ্যাকসিন মিশ্রণে সামান্য পাশ^প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, এর ফলে মাথা ব্যথা, অবসন্নতা, সাধারণ অসুস্থতার মতো সাময়িক কিছু পাশর্^প্রতিক্রিয়া দিতে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা একেবারেই সাময়িক এবং অন্য কোনো জটিলতা নেই।
আরেকটি গবেষণায় ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের মিশ্রণের ফলে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে।