
যে নারীরা তাঁদের বাচ্চাদের ডে-কেয়ারে রাখে সেই বাচ্চারা তাঁদের মায়েদের ভালবাসেনা। বৃদ্ধকালে সেই বাচ্চারা তাদের মায়েদের ওল্ড হোমে রাখে।
আজকাল নারীরা পুরুষের স্থান দখল করে নিচ্ছে, তারা পুরুষের মত পোষাক পড়ছে। এজন্য নারীদের শরীরের আকর্ষনীয় অংশগুলো ফুটে উঠে। ফলে তারা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে।
ইহুদি নাসারাদের পথ অনুসরন করে মুসলমান পুরুষরা ক্লিন সেভ করে নারীদের মত হয়ে যাচ্ছে। তারা এখন আর নারীদের প্রতি আকর্ষন বোধ করেনা। ফলে পুরুষের প্রতি পুরুষের যৌন আগ্রহ বাড়ছে। সেটাতেও পুরুষদের ভালো লাগছে না। তারা এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। বাচ্চাদের সাথে যৌনকার্য করেও তাদের চাহিদা মিটছে না, তারা পশুর সাথে যৌনকাজ করছে।
পনের থেকে পচিশ বছর হল নারীদের বাচ্চা নেয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। অথচ সরকার বলছে, আঠার বছরেও নাকী একজন নারী শিশু থাকে। নারীর কাজ সন্তান জন্ম দেয়া আর সন্তান লালন পালন করা। — এ কথাগুলো হল সদ্য গুম হওয়া এবং গুম থেকে ফিরে আসা মাওলানা আবু ত্ব হা সাহেবের। তার গুম হওয়ার সংবাদ ফেসবুকে দেখা পর ইউটিউবে তার একটি ভিডিও দেখলাম। সেখানে উনি উপরের কথা গুলো বলছেন। বাংলা ও ইংরেজী মিলিয়ে চমৎকার ভঙ্গিতে তিনি কথা বলেন। তার পুরো বক্তব্যের সারমর্ম হল নারীরা সমাজের সকল নষ্টের মুল। বাচ্চা ও পুরুষরা নষ্ট হচ্ছে একমাত্র নারীর কারনেই। তার মুল যুক্তি হল, নারীরা ঘরে থেকে সন্তান জন্মদান, আর লালনপালন করলেই সমাজের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আমি বুঝিনা, সব হুজুরদের মুল টার্গেটসব সময় নারী কেন? কেন নারীদের প্রতি তাদের এত ঘৃনা? ওনারা কী আসমান থেকে সরাসরি পৃথিবীতে নাজিল হন? ওনারা কী নারীর পেটের ভিতর থেকে বের হয় না?
অথচ তার গুম হওয়ার পর থেকে একজন নারীই তার ফিরে আসার জন্য হাহাকার করছিল আর যুদ্ধ করছিল।
টরন্টো, কানাডা