
টরন্টোবাসীকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেছেন, দয়া করে আপনি নিজে ভ্যাকসিন নিন এবং সম্ভব হলে আপনার বন্ধু ও আত্মীয়কে ভ্যাকসিন নিতে রাজি করান ও ভ্যাকসিন ক্লিনিকে পৌঁছে দিন। গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। জন টরি বলেন, কানাডা দিবসের সপ্তাহে ভ্যাকসিনের জন্য নগরীর ৯টি ক্লিনিকে ৬৯ হাজার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকড করা হয়েছে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া কারও কাছে কঠিন মনে হলে এ কাজে তাকে সহায়তা করুন।
টরন্টোর ৭৭ শতাংশের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন নগরীর ৪৫ শতাংশের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক। তারপরও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নেবারহুডসহ বেশি কিছু এলাকা ভ্যাকসিনেশনে এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। এ ধরনের একটি এলাকাতেই অবস্থিত ক্লোভারডেল মল। মলে অবস্থিত ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকটি বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শনে যান টরন্টোর মেয়র জন টরি।
ক্লোভারডেল মল থেকে খানিক দূরেই ইটোবিকোক ওয়েস্ট মল নেবারহুড। টরন্টোর যেসব এলাকায় ভ্যাকসিনেশনের হার সবচেয়ে কম সেই তালিকায় আছে এলাকাটি এবং এখন পর্যন্ত অন্তত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন এখানকার ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ। আর উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৯ শতাংশ।
ক্লোভারডেল মল ক্লিনিকের কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র জন টরি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দ্রুত খুলে যাওয়া দেখতে চাইছেন মানুষ। আমিও সেটাই চাইছি। এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি এটা চাইছেন না। আমরা চাই ইনডোর ডাইনিং, জিম, শিশুদের খেলাধুলাসহ অন্য সবকিছু আবার স্বাভাবিকতায় ফিরে আসুক। তবে এটা তখনই করতে হবে যখন তা নিরাপদ হবে এবং আবার সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার অবস্থা তৈরি হবে না। কারণ তেমনটা হলে আমাদেরকে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো কেউ আর থাকবে না। সুতরাং যেসব স্থানে আমরা পিছিয়ে আছি ও পথ হারিয়েছি এবং আমাদের আদিবাসী মানুষদের আরও বেশি করার আছে, এই কানাডা দিবসে আসুন সেটা নিয়ে ভাবি। কোভিড-১৯কে পরাস্ত করতে নিজে ভ্যাকসিন নিয়েছি কিনা এবং অন্যকে নিতে উৎসাহ দিচ্ছি কিনা দয়া করে সেটা নিয়েও ভাবুন।