
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিশেষ করে বুস্টার কার্যকর বলে তিনটি গবেষণায় উঠে এসেছে। শুক্রবার গবেষণা তিনটি প্রকাশিত হয়েছে। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা জানতে এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত বড় ধরনের গবেষণা।
প্রথম গবেষণাটিতে আগস্ট থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ১০টি রাজ্যে হাসপাতালে রোগী ভর্তি, জরুরি কক্ষ ও জরুরি সেবা কেন্দ্রের রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফাইজার বা মডার্নার তৃতীয় ডোজের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধুমাত্র দুই ডোজ ভ্যাকসিনের সুরক্ষা তুলনামূলক কম। বিশেষ করে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ছয় মাস অতিবাহিত হলে।
প্রতিরোধ বলতে কেবল সংক্রমণ নয়, গুরুতর অসুস্থতার ওপরও জোর দিয়েছেন কর্মকর্তারা। সে হিসেবে ভালো কিছু সংবাদ রয়েছে। তৃতীয় ডোজ হাসপাতালে ভর্তি এড়াতে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ কার্যকর। ডেল্টা এবং ওমিক্রন উভয় ঢেউয়েই এটা প্রযোজ্য।
দ্বিতীয় গবেষণাটিতে এপ্রিল থেকে বড়দিন পর্যন্ত ২৫টি রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুহারের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুৃরক্ষা উচ্চ মাত্রায় রয়েছে। এটাও ডেল্টা এবং ওমিক্রন উভয় ঢেউয়ের সময়েই প্রযোজ্য।
দুটি গবেষণার ফলাফলই সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। তৃতীয় গবেষণাটি প্রকাশ করেছে দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। এই গবেষণাটিরও নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডিসির গবেষকরা। এতে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪ হাজার ৬০০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফাইজার বা মডার্নার তিন ডোজ ওমিক্রন সম্পর্কিত উপসর্গের বিরুদ্ধে ৬৭ শতাংশ কার্যকর। তবে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর আর লক্ষ্যণীয় কোনো কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.