13.7 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

ওমিক্রন ঢেউ চূড়ায় পৌঁছাচ্ছে

ওমিক্রন ঢেউ চূড়ায় পৌঁছাচ্ছে - the Bengali Times
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা তেরেসা ট্যাম

দেশে ওমিক্রন ঢেউয়ের চূড়ায় পৌঁছানোর ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে একে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে বিজয় হিসেবে কারও নৃত্য করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম।

শুক্রবার কোভিড-১৯ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কেউ যে নিয়ন্ত্রণমূলক এসব পদক্ষেপ আর চান না এ ব্যাপারে কারও মধ্যেই কোনো সন্দেহ নেই। ওমিক্রন আরও এক ধাপ বাস্তবতার দিকে আমাদের ঠেলে দিতেও পারে আবার নাও পারে। তবে ভিন্ন পরিস্থিতির জন্য আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে এবং নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের সামাজিক কর্মকা- কিভাবে মহামারি পুর্ববর্তী অবস্থঅয় ফিরিয়ে নেওয়া যায় সেটা দেখতে হবে।

- Advertisement -

ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, গত সপ্তাহে আক্রান্তের হার এবং পর্যবেক্ষণ সবই এই ইঙ্গি দিচ্ছে যে জাতীয়ভাবে ওমিক্রন ঢেউ চূড়ায় পৌঁছাচ্ছে।

ডা. ট্যামের এ মন্তব্য বেশ কয়েকটি প্রদেশের প্রিমিয়ারদে বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি। যেখানে আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি সংক্রমণ প্ল্যাটুতে পৌঁছাতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন। সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছানোর ব্যাপারে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড এতোটাই আত্মবিশ^াসী যে, ১০ দিনের মধ্যে পাবলিক স্পেসের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নিউ ব্রান্সউইকের প্রিমিয়ার ব্লেইন হিগস বলেছেন, সংক্রমণ ও হাসাপাতালে রোগী ভর্তি এখনও চূড়ায় না পৌঁছালেও ১৫ জানুয়ারি আরোপন করা লকডাউন এ মাসের শেষ দিকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে।

কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু বৃহস্পতিবার বলেন, পরিস্থিতি খুবই নাজুক থাকায় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন না তিনি। তবে ইনডোর ডাইনিংয়ের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না করা হলে বন্ধের নির্দেশনা ভঙ্গ করার কথা প্রদেশের রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়ে দিয়েছেন রেস্তোরাঁ ও বার মালিকরা।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বনি হেনরি শুক্রবার বলেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি গত সপ্তাহের রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে

কমতে শুরু করেছে। তারপরও গোষ্ঠী সংক্রমণের কারণে বার ও নৈশক্লাবগুলো বন্ধই থাকবে।

দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, কিছু প্রদেশে রোগী সংখ্যা স্থিতিশীল থাকলেও হাসপাতালগুলোর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহেই কানাডার হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজারের বেশি কোভিড রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের সপ্তাহের তুলনায় সংখ্যাটি প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। মহামারির আগের যেকোনো সময়ের তুলনায়ই এ সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে জানান ডা. তেরেসা ট্যাম।

এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ১০০ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। আগের যেকোনো ঢেউয়ের তুলনায় সংখ্যাটি বেশি।

ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, ১৪ জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কানাডায় প্রতিদিন গড়ে১৩১ জন মারা যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল গড়ে ৮২ এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ৩৯ জন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles