
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় কিশোরীর গোসলের ছবি তোলার পর তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। তবে গত শুক্রবার দুই লাখ টাকায় ঘটনা ‘মীমাংসা’ করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কামাল্লা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান।
কিশোরীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে গোসল করার সময় তোফাজ্জল হোসেন লুকিয়ে তার ছবি তোলে। পরে সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। এভাবে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে তোফাজ্জল।
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলেন ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন। অন্যথায় ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারব না বলেও ভয় দেখান তিনি। আমি গরিব মানুষ, আইন-আদালত বুঝি না। এজন্য মীমাংসা করতে রাজি হয়েছি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটির ভবিষ্যত চিন্তা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বাড়িতে বসা হয়। সালিসে তোফাজ্জলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’
ওমান প্রবাসী তোফাজ্জল গত তিন মাস ধরে দেশে অবস্থান করছে। গত ২৯ জানুয়ারি ওই কিশোরীর গোসলের ছবি তোলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন। ঘটনা সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।