5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮৯ শতাংশ জ্যেষ্ঠ কানাডিয়ান

উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮৯ শতাংশ জ্যেষ্ঠ কানাডিয়ান - the Bengali Times
চিফ মেডিকেল অফিসার ডা তেরেসা ট্যাম

গত শনিবার পর্যন্ত ৭০ বছরের বেশি বয়সী ৮৯ শতাংশ জ্যেষ্ঠ কানাডিয়ান উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন। তবে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে উভয় ডোজ নিয়েছেন মাত্র ৪৬ শতাংশ। আর ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ৫৪ শতাংশ কানাডিয়ান এখন পর্যন্ত উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে সব বয়সী ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে অবশ্যই ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে বলে জানান চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, অধিক সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিনেশনের বাইরে থাকা তরুণদের মধ্যে দ্রুত ছড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ বেড়ে গেলে এ সংক্রমণ হাসপাতাল ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয় ঢেউয়ের তুলনায় ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক ৬৪০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু দেশের কিছু এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির আগাম আলামত দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিধিবিধান শিথিল করলে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে কোয়ারেন্টিনের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন ডা. তেরেসা ট্যাম। তাই আলবার্টার নাগরিকদের প্রতি তিনি আইসোলেশন, পরীক্ষা এবং তাদের সান্নিধ্যে আসা ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, আলবার্টায় এখনও ভ্যাকসিনেশনের বাইরে লাখ লাখ মানুষ রয়েছে এবং বড় পরিসরে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ থেকে উত্তোরণের উপায় হলোÑভ্যাকসিন নিন।

- Advertisement -

যথেষ্ট সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার আগেই দ্রুত অর্থনৈতিক সব কর্মকান্ড খুলে দিলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কানাডায় সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ডা. তেরেসা ট্যাম। আলবার্টার মতো প্রদেশ অব্যাহতভাবে বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিপ্রেক্ষিতে ডা. তেরেসা ট্যাম শুক্রবার বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উন্মুক্তকরণ গ্রীষ্মের আগেই সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দিতে পারে।

এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব তরুণদের পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন বয়স শ্রেণির মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণরা পিছিয়ে থাকলেও সংক্রমণ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতা সবচেয়ে বেশি। ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হার আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি এরই মধ্যে লক্ষণীয় মাত্রায় কমিয়ে আনলেও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে ভ্যাকসিনেশনের হার আরও বাড়াতে হবে বলে মত দেন ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, ৬৩ লাখ লোক এখন পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনও নেননি। দ্বিতীয় ডোজ নেননি ৫০ লাখের বেশি মানুষ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles