
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে এফডিসি কেন্দ্রিক সব সংগঠন নিপুণকে মিষ্টিমুখ করিয়ে সংবর্ধনা দেয়। এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, আদালত অবমাননা করে নিপুণ সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেছেন। এমন অভিযোগের জবাব দিলেন নিপুণ। বললেন, শিল্পী সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সমিতিতে গিয়েছি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নয়।
নিপুণ আরও বলেন, ‘এগুলো মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার নেমপ্লেট যেদিন আমি শপথ নেই সেদিনই তৈরি করা হয়েছিল। আর আজ আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারা দিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ কমিটির কেউ হিসেবে নয়। এছাড়াও সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আজ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরের জন্মদিন উদ্যাপন করেছি। সব না জেনে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তারা একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে মনে করি আমি।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবে তার দিকেই তাকিয়ে আছি৷ আদালত অবমাননা করে ক্ষমতায় বসার কোনো কারণ নেই।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের ফলে জায়েদ সেক্রেটারি নির্বাচিত হলেও তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনেন নিপুণ। সেসব অভিযোগ আমলে এনে প্রমাণ পেয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী করে আপিল বোর্ড। এরপর আপিল বোর্ডের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে জায়েদের পদ বহাল রাখে হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিপক্ষে আপিল করলে পদটিতে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত হবে কে বসবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে।