5.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

কুইবেকের সেবা খাতের কর্মীদের যথেষ্ট বেতন না পাওয়ার অভিযোগ

কুইবেকের সেবা খাতের কর্মীদের যথেষ্ট বেতন না পাওয়ার অভিযোগ - the Bengali Times
জনগণ ন্যুনতম মজুরির চাকরি ছেড়ে যাওয়ার কারণে কর্মী নিয়োগে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে

গত হেমন্তে হেটে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময়ই ক্লো পিল বুঝতে পারেন যে তার মধ্যে ভয় দানা বাঁধছে। তার নিঃশ্বাস ভারী। কর্মক্ষেত্রের পাশেই একটি কফি শপের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর তার নিঃশ্বাস নেওয়া বেড়ে যায় এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে।

আমার মন বলছিল, আমি এটা করতে পারবো না। কোনোমতেই এটা করতে পারবো না। কিন্তু আমার সামনে বিকল্প কিছু নেই। আমাকে আমার কাজে যেতেই হয়। বলছিলেন ক্লো পিল। মহামারির মধ্যে দুই বছর কফি শপে কাজ করার পর গত নভেম্বরে ভেঙে পড়েন।

- Advertisement -

তবে তিনি একা নন। মন্ট্রিয়লজুড়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, জনগণ ন্যুনতম মজুরির চাকরি ছেড়ে যাওয়ার কারণে কর্মী নিয়োগে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রয় খাতে ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ৫০ ডলার। তবে যারা বকশিস নিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১০ দশমিক ৮০ ডলার।

হতাশাটা ভালোই বুঝেছেন পিল। সেদিনের পর তাকে মন্ট্রিয়লের ডগলাস সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের জরুরি কক্ষে যেতে হয়। এরপর তার সাইকিয়াট্রিস্ট তাকে কাজ ও স্কুল থেকে ছুটিতে পাঠান।

পিল বলছিলেন, দুর্ভোগের কারণে লোকজন চাকরি ছেড়ে যাচ্ছেন। তারা ছেড়ে যাচ্ছেন এই কারণে নয় যে তারা কাজ করতে চান না। তারা কাজ করতে চান। কিন্তু তারা এটা সামলাতে পারছেন না।

পারিবারিক মুদি দোকানে পণ্য সামগ্রী ব্যাগে ভরার কাজ করেন লরেঞ্জো লরিয়েরি। এই কাজটা চালিয়ে যাওয়া তার জন্য কঠিন বলে জানান তিনি। লরিয়েরি বলছিলেন, এখানে আর কোনো সেবা দেওয়া হয় না। আমার মনে হয় কেউ আর কাজ করতে চায় না। এটা এক ধরনের বিড়ম্বনা। কারণ আমরা কাজ করছি। এটা যথেষ্ট নয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles