
মহামারির অবসানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন জোরদারে ফেডারেল সরকারকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মীদের গ্রুপ। কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. ক্যাথেরিন স্মার্ট বলেন, মহামারির অবসানকে প্রলম্বিত করছে কোভিড-১৯ এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এ ধরনের ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো অনুন্নত দেশগুলোতে ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়ানো। এটা না করা হলে আমার মাহামারি ব্যবস্থার চক্রে আমরা ঘুরপাক খেতে থাকবো। কারণ, ভ্যাকসিনেশনের হার কম হওয়ার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট ও মিউটেশন আসবে।
বুধবার তিনি বলেন, বিশে^র প্রায় অর্ধেক মানুষ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি, যা ভাইরাসকে মিউটেশন ও পরিবর্তিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্য দেশগুলোকে সুরক্ষার অর্থ হলো কানাডিয়ানদেরও সুরক্ষিত করা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোভ্যাক্সকে আরও সহায়তা প্রদানে কানাডার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এই আহ্বানে যোগ দিয়েছে দারিদ্র্যবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ান ক্যাম্পেইন, আফ্রিকান কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ও অন্যরা।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত যে ১ হাজার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশই পেয়েছে উচ্চ ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর নাগরিকরা। এসব দেশের দুই-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন এবং প্রতি তিনজনের একজন আবার তৃতীয় ডোজও পেয়েছেন। অন্যদিকে নি¤œ আয়ের ২৮টি দেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন পান নি।
আফ্রিকান কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়ার প্রধান হেক্টর অ্যাডিসন বলেন, আফ্রিকান বংশোদ্ভুতদের মধ্যে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু হার অন্য যেকোনো জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি। এর কারণ হলো সম্মুখসারির অনেক কর্মীরই বাড়িতে বসে কাজ করার যে বিলাসিতা সে সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আফ্রিকার এক শতাংশও পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হয়নি, যা স্বাস্থ্যসেবা খাতের ওপর চাপ তৈরি করছে এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। মজুদ ও ভ্যাকসিন জাতীয়করণের কারণে সৃষ্ট ভ্যাকসিন অন্যায্যতার কারণে আফ্রিকায় এ দুর্ভোগ দেখঅ দিয়েছে।
২১ ডিসেম্বরের পর থেকে কানাডা কোভ্যাক্সে কোনো ভ্যাকসিন পাঠায় নি। যদিও এ বছরের মধ্যেই ৫ কোটি ডোজ সরাসরি ও আরও ১৫ কোটি ডোজের জন্য অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.