10.7 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

আফিয়ার মুক্তি চাওয়া ও টেক্সাস হামলা, যোগসূত্র একই?

আফিয়ার মুক্তি চাওয়া ও টেক্সাস হামলা, যোগসূত্র একই? - the Bengali Times
আফিয়া সিদ্দিকী ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কলিভিলের বেথ ইজরায়েলে গত ১৬ জানুয়ারি ইহুদিদের একটি উপসানলয়ের ভিতরে চারজনকে জিম্মি করে এক বন্দুকধারী। ১০ ঘণ্টার উত্তেজনা-নাটকীয়তা শেষে বন্দুকধারীকে হত্যা করে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

দেশটির একাধিক গণমাধ্যম দাবি করছে, জিম্মিকারী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি পাকিস্তানি নাগরিক আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই মালেক আকরাম।

- Advertisement -

সংবাদমাধ্যম জি৫ নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস আগে টুইটারে আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি চাওয়ার একটি ট্রেন্ড লক্ষ্য করা গেছে। যে অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বেশিবার টুইট করা হয়েছে, সেগুলো শনাক্তের কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাইকেল টুইজ ফক্স নিউজে লিখেছেন, আফিয়া সিদ্দিকীর সমর্থনে যে অ্যাকাউন্টগুলো বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি শনাক্ত করা গেছে। যেখানে একজন পাকিস্তানি ব্যবহারকারী রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করছেন পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকী। আল কায়েদার অপারেটিভ হিসেবে সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। ম্যানহাটানের এক আদালতে ২০১০ সালে আফিয়া সিদ্দিকীকে অভিযুক্ত করে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে শাস্তি দেওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ‘ডটার অব দ্য নেশন’ আখ্যায়িত করে তাকে মুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত আফিয়াকে মুক্ত করার তাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles