
পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে যে কারোরই মেজাজ-মস্তিষ্ক বিগড়ে থাকে। কেমন একটা ছন্দপতন ঘটে জীবনে। বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয়দের সামনে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে ওঠে। পরিবারের চাপ তো আছেই, সেখানে শারীরিক কিংবা মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। জীবনের সবকিছু আড়ষ্ট লাগে। ভালো কথাও যেন মন্দ হয়ে কানে বাজে। এ সময় কেউ নিজের সঙ্গে কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঘটিয়ে ফেলতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। আবার কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়ে কলহবিবাদে।
পরীক্ষায় ফেল করে এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছে স্পেনের এক কিশোর (১৫)। ওই কিশোর প্রিয়জনদের হত্যা করে তাদের লাশ নিয়ে তিন দিন ধরে ঘরেই অবস্থান করছিল। পরে এক স্বজনের ফোন পেয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে পরিবারটির সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ওই কিশোরের খালা তাদের খোঁজে ওই বাড়িতে যান। তখন কিশোর তাঁকে বলে, সে তার বাবা-মা ও ভাইকে হত্যা করেছে। এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কিশোরকে হেফাজতে নেয়।
কিশোরটির ভাষ্য, পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে মায়ের সঙ্গে তর্কাবিতর্ক হয়েছিল। একপর্যায়ে ক্ষোভে বাবার বন্দুক দিয়ে মাকে গুলি করে সে। পরে একইভাবে বাবা ও ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইকেও হত্যা করে। আইন মেনে ওই কিশোরের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।