
স্বামী ও সহ-অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন মাসকয়েক আগেই। সঙ্গে জানিয়েছিলেন নিজের মা হওয়ার খবরও। তারপর অভিযোগ উঠল সেই বিয়ে বৈধ নয়। কুমিল্লা জজ আদালতের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন পরীমণি ও রাজকে। যাতে চাওয়া হয়েছে, বিয়ের বৈধতার প্রমাণ, তাও আবার ৭ দিনের মধ্যে।
নোটিস পাঠিয়েছেন যে আইনজীবী তার দাবি, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণি যশোরের কেশবপুর এলাকার যুবক ফেরদৌস কবির সৌরভকে বিয়ে করেন। আর সেখান থেকে তালাক না নিয়েই পরীমণি গত ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেছেন শরিফুল রাজকে।
পরীমণিকে নিয়ে এমন বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার হাতে আইনি নোটিস ধরানোয় রেগে আগুন হিরো আলম। রীতিমতো ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, ‘দশ বছর আগে যদি পরীমণির বিয়ে হয়ে থাকে, এতো দিন পর কেন আপনি উকিল নোটিশ পাঠাবেন? এর আগে যখন আপু বিয়ে করেছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন? এখন কি তবে ভাইরাল হওয়ার জন্য এই কাজ করছেন, না হলে নিশ্চয়ই মোটা অঙ্কের টাকা চান!’
হিরো আলম ফেসবুক লাইভে বলেন সকলেই জানেন পরী সন্তানসম্ভবা। এমন সময় হইহট্টগোল পাকানোর কি দরকার? কেননা, এর মাঝেই তো পরীর বিয়ে হয়েছে, তখন কেন আইনি নোটিস দেওয়া হয়নি!
পরীমণিকে উদ্দেশ্য করে এরপর হিরো আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘বিয়ে করবেন সমস্যা নেই, তবে পথ ক্লিয়ার করে করুন। যাতে কেউ কথা না বলতে পারে। জানেন তো আমরা ভাইরাল পার্সন; কিছু করলে বাতাসের আগে খবর ছড়ায়। এতে আমাদের সম্মানের ক্ষতি হয়। তাই বিয়ে করার আগে পথটা ক্লিয়ার করে বিয়ে করতে পারতেন!’