
যারা বুস্টার ডোজ নেননি তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের পর হাসপাতালে ভর্তির হার বুস্টার ডোজ গ্রহীতাদের চেয়ে চারগুন বেশি বলে নতুন এক উপাত্তে জানিয়েছে টরন্টো। এ কারণে পূর্বাঞ্চলে ভ্যাকসিনেশন জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটি কর্তৃপক্ষ।
‘ভ্যাক্স দ্য ইস্ট’ নামক ১০ দিনের এ প্রচারণায় প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে ফ্লেমিংডন পার্ক, টর্নক্লিফ পার্ক এবং স্কারবোরোতে ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়ানোর ওপর। সপ্তাহের শেষ দিকে অন্টারিও সায়েন্স সেন্টার ও টর্নক্লিফ পার্ক কমিউনিটি হাবে কর্মসূচিটি উদ্বোগ করার কথা। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে বিকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। পরবর্তী সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ দলের মাধ্যমে স্কারবোরোর পাঁচ থেকে ছয়টি স্কুলে প্রতিদিন এ কর্মসূচি চলবে। শিক্ষার্থী, কর্মী, অভিভাবক ও সবার জন্যই এসব ক্লিনিক উন্মুক্ত থাকবে।
টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেন, জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার এটা একটি স্থানীয়, কাক্সিক্ষত ও কার্যকর উদ্যোগ। অনেক ক্ষেত্রে এটা মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার মতো। গত সপ্তাহে আমি টরন্টো কমিউনিটি হাউজিং ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিক পরিদর্শন করে এর কার্যকারিতা দেখেছি। ক্লিনিকের কর্মীদের হাতে প্রত্যেক অ্যাপার্টমেন্টের প্রত্যেক পরিবারের প্রত্যেকের নামের তালিকাসম্বলিত কাগ দেখেছি। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরজা নক করেছেন। ভ্যাকসিন নিতে লোকজনকে এলিভেটর দিয়ে নামতেও দেখেছি। ব্যবস্থাটি যে কাজ করছে এটা তার প্রমাণ।
স্থানীয় এ প্রচারণার মাধ্যমে ভ্যাকসিন না নেওয়া ১০ শতাংশ ও বুস্টার না নেওয়া প্রায় ৫০ শতাংশেল কাছে পৌঁছাতে চাইছে টরন্টো। জন টরি বলেন, তৃতীয় ডোজ না নেওয়া ৫০ শতাংশের মধ্যে পদ্ধতিটি কাজ করছে এবং জানুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন নেবারহুডে ভ্যাকসিনেশনের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছিল এটি তার চেয়ে বেশি আছে।
মাউন্ট অলিভে ৩৭ থেকে ৫৭ শতাংশ, ব্ল্যাক ক্রিকে ৪০ থেকে ৫৬ শতাংশ, ক্যালেডোনিয়া ফেয়ারব্যাংকে ৪২ তেকে ৫৬ শতাংশ, ওয়েস্টন-পেলহাম পার্কে ৪২ থেকে ৫৭ শতাংশ এবং কিলসডেল-ইগলিনটন ওয়েস্টে ৪২ থেকে ৫৬ শতাংশ মানুষ তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া মঙ্গলবার সিটি কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত এক উপাত্তে বলা হয়েছে, ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই ডোজ গ্রহণকারী ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের পর হাসপাতালে ভর্তির হার তিন ডোজ গ্রহীতাদের তুলনায় চারগুন এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চলে যাওয়ার হার সাতগুন বেশি। আর ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা তৃতীয় ডোজ গ্রহীতাদের তুলনায় ছয়গুন এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুন বেশি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.