
জিএম কানাডার ওশআওয়া প্লান্টে প্রথমবারের মতো নারী কর্মীর হার মোট কর্মীবাহিনীর ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে কোম্পানিটি। প্লান্টটিতে মোট কর্মী আছে সাকল্যে এক হাজার ৮০০ জন।
জিএমের মানবসম্পদ পরিচালক ক্রিস্টোফার থম্পসন বলেন, আমাদের যে নতুন কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে প্লান্টের কর্মীরা আগেই তা বুঝতে পেরেছিলেন। উৎপাদন খাত বিশেষ করে অটোমোটিভ শিল্পে কর্মীবাহিনীর ৫০ শতাংশ নারী হওয়াটা বিরল। সর্বোচ্চ অন্তর্ভুুক্তমূলক কোম্পানি হওয়ার যে লক্ষ্য জিএমের রয়েছে সে দৃষ্টিকোণ থেকে স্থানীয় কোম্পানিগুলোতে অর্থপূর্ণভাবে আমরা অবদান রাখতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। আমরা মনে করি এটাই সঠিক কাজ। এটা না করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমরা মনে করি না। আবারও বলছি, জনবলে আমরা আমাদের সমাজ ও কমিউনিটির প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই।
থম্পসন বলেন, ঐতিহাসিকভাবে অতীতে ওশআওয়া প্লান্টে নারী কর্মী ছিলেন মোট জনবলের মাত্র ২০ শতাংশ। এ হার বাড়াতে নারীদের ড্রেসিং রুম, লকার, শাওয়ার ও লিঙ্গ নিরপেক্ষা বাথরুম তৈরি করতে গিয়ে ভৌত অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে আমাদের।
বর্তমানে চেসিস অপারেটরের কাজ করছেন হিদার ম্যাকলিওড। এর আগে ১৫ বছর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশে তিনি ১৫ বছর কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালনর করেছেন। অন্টারিওর কোর্টিসে বসবাসকারী ৪৯ বছর বয়সী ম্যাকলিওড বলেন, এটা আমার কাছে একদমই নতুন। মহামারি শুরুর হওয়ার পর মনে হয়েছিল আমার কাজটি বোধহয় অফিসে বসেই করতে হবে ভবিষ্যতে। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এ কাজ আমার জন্য নয়। এরপর চাকরি ছেড়ে ডারহাম অঞ্চলে চলে এবং জিএমে চাকরির আবেদন করলাম। তখন এটা আমার কাছে হাস্যকর সিদ্বান্ত মনে হয়েছিল। আর এখন জীবিকার জন্য আমি ট্রাক তৈরি করি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.