
কানাডা পোস্টের ডাক বিতরণে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে জনগণ কি ভাবছে তা জানতে চেয়েছেন ফিলোমেনা ট্যাসি। পাবলিক সার্ভিসেস ও প্রকিউরমেন্ট কানাডা (পিএসপিসি) বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ ব্যাপারে জনগণের মতামত জানতে চাইলেন তিনি।
যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তার মধ্যে আছে গ্রামের অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া, হোম ডেলিভারির স্থলে কমিউনিটি মেইলবক্স ব্যবস্থা চালু করা এবং ফেরত আসা মেইলের ডেলিভারি সপ্তাহে তিনবারে নামিয়ে আনা।
ট্যাসি পিএসপিসির দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাস পর গত মধ্য ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষাটি করা হয়। সমীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন রাখা হয় তাতে নিশ্চিত যে ট্যাসির কার্যালয় কানাডা পোস্টের খরচ ও লোকসান কমিয়ে আনতে চাইছে। তবে এটাও ঠিক যে ট্যাসির এসব প্রশ্ন ৬১ হাজার পোস্টাল কর্মীর প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নকে ক্ষুব্ধ করেছে।
কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পোস্টাল ওয়ার্কার্সের (সিইউপিডব্লিউ) প্রেসিডেন্ট ইয়ান সিম্পসন বলেন, জনগণ যখন আরও বেশি করে পোস্টাল সেবা চাইছে ঠিক সেই সময়ে এটা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের সমীক্ষা পরিচালনা সত্যিই উদ্বেগের ও হতাশাজনক। পুরো মহামারিজুড়ে পোস্টাল কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাদের জন্য এ ধরনের সমীক্ষা অপমানজনক। এই সমীক্ষার ব্যাপারে সিইউপিডব্লিউকে অবহিত করা হয় নি বা তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শও করা হয়নি। তার না করেই ডিসেম্বরে কানাডিয়ানদের কাছে কানাডা পোস্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। অথচ তারা আমাদের কাছ থেকে সেবার সম্প্রসারণ চান।
কানাডা পোস্টের একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, তারা সমীক্ষাটি পরিচালনা করেনি। এমনকি এতে অংশও নেয়নি। প্রশ্নের ব্যাপারেও সরকারকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কানাডা পোস্ট।
ট্যাসির কার্যালয় থেকে কানাডা পোস্ট সম্পর্কে যে প্রশ্ন জনগণকে করা হয়েছে তা প্রিভি কাউন্সিল অফিস পরিচালিত সাপ্তাহিক সমীক্ষা কর্মসূচির অংশ। প্রধানমন্ত্রীর কাজে সহায়তা দিয়ে থাকে প্রিভি কাউন্সিল। প্রিভি কাউন্সিল অফিসের সমীক্ষায় নির্ধারিত মানের কিছু প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কোনটি এবং সরকার সঠিক পথে আছে কিনা। কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলো প্রায়ই তাদের নিজস্ব প্রশ্ন প্রিভি কাউন্সিল অফিসের সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করে থাকে এবং পিএসপিসিও ১২ ডিসেম্বর সমাপ্ত সপ্তাহে সেটাই করেছে।
এক হাজার কানাডিয়ানের ওপর টেলিফোনের মাধ্যমে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৯ শতাংশ কানাডিয়ান কানাডা পোস্টকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। আর ৫০ শতাংশ কানাডিয়ান এর পুনর্গঠন চেয়েছেন।
এদিকে কানাডা পোস্ট পুরো ২০২১ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেনি। তবে ৫৭ কোটি ডলার রাজস্ব ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালেকানাডা পোস্টের রাজস্ব ছিল ৯৩০ কোটি ডলার।