
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান বাতিলের পরিকল্পনা এখনই নেই বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিনা এলিয়ট। যদিও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু প্রদেশ বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিধি প্রত্যাহারের আগ্রাসী সময়সীমা ঘোষণা করেছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যদিও প্রদেশ কিছু জনস্বাস্থ্য বিধি শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তারপরও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রদেশ খুবই সতর্ক এবং এটা করা হবে পর্যায়ক্রমে।
ক্রিস্টিনা এলিয়ট এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন আলবার্টার পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট শিগগিরই বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধানের বিধানও আগামী সপ্তাহ থেকে তুলে নেওয়া হবে প্রদেশ্িটতে।
সাস্কেচুয়ানও সোমবার কিছু অনাবশ্যক স্থানে ভ্যাকসিনের স্বপক্ষে প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য সূচকগুলোর উন্নতি অব্যাহত থাকায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধানও তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রদেশটি।
এ প্রসঙ্গে অন্টারিওর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরাই নেবো এবং দৈনিক ভিত্তিতে আমরা উপাত্তের দিকে চোখ রাখছি। বর্তমানে যে প্রবণতা তাকে ভালোর দিকেই বলতে হবে। তবে এ নিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই এবং মনে হয় এটা অব্যাহত থাকবে। ওমিক্রন খুবই সংক্রামক এবং অন্টারিওর কিছু স্থানে আমরা নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ শনাক্ত করেছি। এটা নিশ্চয় আরও বেশি সংক্রামক হবে। সুতরাং এখনও আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। এসব বিধিবিধান চিরকাল রয়ে যাবে এমনটা আমরা অন্টারিওবাসীকে বলছি না। তবে আমাদের কাছে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। তাই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ও মাস্ক দিয়ে অন্টারিওবাসীকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি আমাদের একে অন্যকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
ফোর্ড সরকার মার্চের মধ্যেই কার্যত বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ সব জনস্বাস্থ্য বিধিবিধান বাতিলের পরিকল্পনা করেছিল প্রাথমিকভাবে। কিন্তু ডিসেম্বরে ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সরকার। এরপর অপেক্ষাকৃত নমনীয় রিওপেনিং পরিকল্পনা ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে একটি হলো ভ্যাকসিন সনদ দেখানো সাপেক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি ইনডোরের ধারণক্ষমতার সীমা প্রত্যাহার করা। এছাড়া কনসার্ট ও স্পোর্ট ভেন্যুর ধারণক্ষমতা ৫০ শতাংশে নিয়ে আসা। ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানে বিধান বহাল রেখে মার্চের মধ্যেই অবশিষ্ট ধারণক্ষমতার সীমাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। যদিও কিছু রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী রিওপেনিং কার্যক্রম দ্রুত করার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন।