10.7 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

থাকেন ফ্রান্সে, চোর নিয়ন্ত্রণ করেন দেশে

থাকেন ফ্রান্সে, চোর নিয়ন্ত্রণ করেন দেশে - the Bengali Times
নাসির নামের এক ব্যক্তি থাকেন ফ্রান্সে

নাসির নামের এক ব্যক্তি থাকেন ফ্রান্সে। কিন্তু সেখান থেকে বাংলাদেশের চোরের একটি দলের বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে আর্থিক সহায়তা করেন। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন বিদেশে বসেই।

এ মাসের শুরুতে ঢাকার কচুক্ষেত ভাসানটেকের একটি জুয়েলারির দোকানে চুরির ঘটনায় তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।

- Advertisement -

বিষয়টি নিয়ে রোববার দুপুরে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবি প্রধান একেএম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, চুরির ওই ঘটনায় শনিবার রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে মনজুরুল হাসান শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও ইমিটেশন গয়না উদ্ধার করা হয়।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, চক্রের হোতা নাসির ফ্রান্সে থাকে। সেখানে বসে চোরচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর গ্রেপ্তার মনজুরুল হাসান শামীম দেশে সমন্বয় করে।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রের ২ জন সদস্য মাসুদ ও ইলিয়াস মিথ্যা নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ওই মার্কেটে যথাক্রমে সিকিউরিটি গার্ড ও সুইপারের চাকরি নেয়। চাকরিরত অবস্থায় দোকানে চুরির পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য চক্রের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতে থাকে। পরিকল্পনামাফিক ঘটনার আগের দিন চক্রের অন্য এক সদস্য শাহীন মাস্টার উক্ত মার্কেটে ১টি দোকান ভাড়া করে মালামাল তোলার নাম করে বক্স বিশিষ্ট টেবিল ব্যবহার করে কৌশলে তালা ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি মার্কেটে প্রবেশ করায়। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে চক্রের আরও ২ সদস্য শ্রীকান্ত ও তালা ভাঙ্গার মিস্ত্রী রাজা মিয়া মার্কেটে প্রবেশ করে। এদিকে মাসুদ ও ইলিয়াস চুরি করে ভোর ৫টার দিকে তাদের কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় চলে যায়।

সেখানে শাহীন মাস্টার ও গ্রেপ্তার আসামি মঞ্জুরুল হাসান শামীম চক্রের অন্য সদস্যদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সেখানে সবার উপস্থিতিতে সবার সামনে স্বর্ণ, ইমিটেশন গহনা ও নগদ অর্থ আলাদা করা হয়। রাত ১০টার দিকে শ্রীকান্ত চোরাইকৃত স্বর্ণ তার পূর্ব পরিচিত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে টাকা নিয়ে ভাড়া বাসায় ফিরে আসে। তারপর তারা ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার মতো আত্মগোপণে চলে যান।

জিঞ্জাসাবাদে আরও জানা যায়, চক্রের মূল হোতা ফ্রান্স প্রবাসী নাসির। সে শামীমের মাধ্যমে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও প্রাথমিক অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। প্রত্যেক সদস্যের আলাদা আলাদা দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকে এবং তারা সেই অনুয়ায়ী দায়িত্ব পালন করে। এর আগেও তারা ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশ এলাকায় একাধিক চুরি করেছে বলে জানা যায়।

ডিএমপি’র গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিরপুর জোনাল টিমের লিডার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং গহনা উদ্ধার করা হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles