
বাপ্পি লাহিড়ীর স্টাইলের কারণে তার ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীকে কটূক্তি শুনতে হতো
সপ্তাহখানেক আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতীয় উপমহাদেশে তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। বাবার মৃত্যুর খবর শুনেই গেল ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে মুম্বাইয়ে ফিরেছেন এই কিংবদন্তির ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। তবে তিনি এখনই ভারত ছেড়ে যাচ্ছেন না। কিছুদিন মাকে সময় দেবেন তিনি।
গান হোক বা গয়না, বরাবরই চর্চিত বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি ‘গোল্ড লাভার’ ছিলেন। তার সংগ্রহে ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা। বরাবরই তার গা-ভরা গয়না দেখে কেউ মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ মেতেছেন রসিকতায়। তবে তার ভিন্নধর্মী ফ্যাশন সবার নজর কেড়েছে।
বাপ্পি লাহিড়ীর স্টাইলের কারণে তার ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীকে কটূক্তি শুনতে হতো! সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ছোটবেলার সেই স্মৃতি শেয়ার করেছেন বাপ্পিপুত্র।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসতেন। সোনার গয়না পরতেন, চোখে সানগ্লাস পরতেন। সবসময়ই খুব ঝলমলে পোশাক পরতেন। আর এ জন্য আমার স্কুল বন্ধুরা আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করত।’
ছোটবেলায় বিষয়টি একেবারেই ভালো লাগত না বাপ্পা লাহিড়ীর। এ বিষয়ে তিনি বাবাকেও বহুবার বলেছেন। কিন্তু তার বাবা সেদিকে পাত্তা দেননি, তিনি তার নিজস্ব স্টাইলেই চলতেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর বাপ্পা বুঝতে পারেন, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে হলে এ রকম পোশাক পরা খুব দরকার এবং এটা তার বাবার খুব পছন্দের বিষয় ছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ী। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান।
গেলো ১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ৬৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তার মৃত্যুতে সুরের ভুবনে শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে।
সূত্র: আনন্দবাজার