
অন্টারিওর স্কুল বোর্ডগুলোকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পুরো সময়জুড়েই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পঠন-পাঠনের সুযোগ দিতে হবে। প্রদেশের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্টারিওর শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা পরামর্শ নিয়েছি। তাতে এটা জানতে পেরেছি যে, অভিভাবকরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইন পঠন-পাঠনে আগ্রহী। কারণ মহামারি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে কেউই তা জানি না। অন্টারিওর প্রতিটি স্কুল বোর্ড যাতে শিক্ষার্থীদের সুযোগটি দেয় আমরা সেটা নিশ্চিত করছি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভিভাবকদের সময় দিতেও বলেছি।
অনেক স্কুল বোর্ড আগামী বছর অনলাইনে পাঠদানের পরিকল্পনা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে। ডারহাম ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড এবং ওয়াটারলু রিজিয়ন ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড এর মধ্যে অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রে বোর্ডগুলো অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন নাকি বাড়িতে বসেই পাঠ নেওয়াবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্যও করেছে।
মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে এপ্রিলের ছুটির পর থেকেই অন্টারিওর সব স্কুল বন্ধ আছে। সেই সময় থেকেই শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ নিচ্ছে। গ্রীষ্মের ছুটির আগে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হবে কিনা সে ব্যাপারে প্রদেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। টরন্টো স্কুল বোর্ড এ সপ্তাহের শুরুর দিকে গ্রীষ্মের সব পাঠদান অনলাইনে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
স্টিফেন লেচি বলেন, সবাই স্কুলে ফিরতে চাইছে। তবে কমিউনিটিতে সংক্রমণের উচ্চ হারের মধ্যে শিশুদের আমরা ঝুঁকিতে ফেরতে চাই না। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো রোগীতে ভরে উঠছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়ছে।
তবে স্টিফেন লেচির এ ঘোষণাকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন এনডিপির এডুকেশন ক্রিটিক মারিট স্টাইলস। তিনি বলেন, ঘোষণা থেকে এটা পরিস্কার যে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ও শিক্ষামমন্ত্রী লেচি প্রদেশকে স্থায়ী অনলাইন শিক্ষার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক পরিবারের জন্য অনলাইন শিক্ষা সত্যিই ভয়াবহ। শিক্ষার্থীরা এতে মানসিকভাবে আহত হচ্ছে, শিক্ষার ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে অভিভাবকরাও কাজের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। আগামী বছরের পুরো সময়জুড়ে অনলাইন শিক্ষার বন্দোবস্ত কেবল কোভিডের কারণে নয়, এর মাধ্যমে সরকার অর্থও বাঁচাতে চায় এবং সেটাই সব সময় হয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উচিত বিনিয়োগ বাড়ানো।