
গত কয়েক মাসে সীমান্ত দিয়ে হাজারো কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি কানাডায় ঢুকে পড়েছেন। গত এপ্রিল থেকে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে ১ হাজার ২৪০টি ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ করেছে। এর বেশিরভাগই অবতরণ করেছে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে। এ অবস্থায় অন্টারিওতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন ফেডারেল সরকার বন্ধ করবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সীমান্তে কড়াকড়ি জোরদারের বিষয়ে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। জাস্টিন ট্রুডো এ ঘোষণা দিলেও সীমান্ত ইস্যুর কথা জোর দিয়ে বলেননি। এমনকি ডগ ফোর্ডও সুনির্দিষ্ট করে এই ধরনের পদক্ষেপ চাননি। মহামারি মোকাবেলার মধ্যে যে রাজনৈতিক খেলা চলছে এটা তারই অংশ।
গত কয়েক মাসে সীমান্ত দিয়ে হাজারো কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি কানাডায় ঢুকে পড়েছেন। গত এপ্রিল থেকে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে ১ হাজার ২৪০টি ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ করেছে। এর বেশিরভাগই অবতরণ করেছে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে। এ অবস্থায় সীমান্ত নিয়ে ফেডারেল সরকারের কিছু একটা করা উচিত বলে ডগ ফোর্ডের যে বক্তব্য তাতে দোষের কিছু নেই।
দিল্লি থেকে ৬২টি, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে ৪২টি, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৬টি, কাতারের দোহা থেকে ১৮টি, প্যারিস থেকে ১৬টি, ইস্তাম্বুল থেকে ১৫টি ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ১২টি ফ্লাইট কানাডায় প্রবেশ করেছে। নিষিদ্ধ করার আগে দিল্লি থেকে সর্বশেষ যে চারটি ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ করেছে সেগুলোর একাধিক সারিতে কোভিড পজিটিভ যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
কানাডা জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য উল্লেখ করে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে কানাডিয়ান প্রেস জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কানাডার চারটি বিমানবন্দরে অবতরণকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর দুই হাজার যাত্রীর কোভিড সনাক্ত হয়েছে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর ৩ হাজার ১৫৮ জনের কোভিড সনাক্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো ভারত ও পাকিস্তান থেকে ফ্লাইট বন্ধ করার আগের ১২ দিনে এক হাজার জনের বেশি যাত্রী কোভিড নিয়ে কানাডায় এসেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্টারিওর প্রিমিয়ার সীমান্তের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানালে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমরা জানি দেশের ভেতরে সংক্রমিতের যে সংখ্যা সীমান্ত দিয়ে আসছে তার চেয়ে খুবই কম।