
অভিনেত্রী নাফিজা তুষি ও ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মাস্ক না পরে বইমেলায় নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হন ‘আইসক্রিম’খ্যাত অভিনেত্রী নাফিজা তুষি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় তুষিকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর সেই ভিডিও এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।
সেদিন ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে উত্তেজিত হয়ে এই অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, তাকে জনপরিসরে ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে সেটি তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানতে চান।
এ সময় মনীষা রানী কর্মকার বলেন, ‘এটা একটি আদালত পরিচালনা হচ্ছে, এটা কোনো শুটিং নয়। আপনি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা সেটা দেখছি। আপনাকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা অনুযায়ী ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দিচ্ছি।’
অবশ্য ওই ঘটনার সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তুষি। তার ভাষ্য, ‘আমি তাকে (ম্যাজিস্ট্রেট) বলেছিলাম, আমার যদি কোনও প্যানিশমেন্টও হয় সাইডে গিয়ে কথা বলেন। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে সাইডে গিয়ে কথা বলছিলেন না; বিষয়টি বারবার ঘুরাচ্ছিলেন। আমি দেখছিলাম, সামনে ভিডিও করা হচ্ছে। আমি ফাইনও দিয়ে দিলাম।’
সেখানে অনেকে মুখে মাস্ক ছিল না জানিয়ে তুষি বলেন, ‘অনেক মানুষের সামনে, অনেক ক্যামেরার সামনে আমাকে বারবার হ্যারাস করছিলেন। তখন আমি শাউট করে বলছিলাম, আমাকে হ্যারাস কেন করছেন? আমাকে ফাইন করেন, আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। মেলায় আরও মানুষ ছিল কোনও মাস্ক পরে নাই। ইনফ্যান্ট পুলিশদের মধ্যেও অনেকে মাস্ক পরে নাই। সেটাও বলছি না। কিন্তু আমার পারমিশন ছাড়া সেটা ক্যামেরায় কেন নেবেন?’
মাস্ক না পরার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অর্থদণ্ড পরিশোধ করেন তুষি। জানান, জরিমানার জন্য উত্তেজিত হননি তিনি। নারী ও মিডিয়াকর্মী হিসেবে নিজের প্রাইভেসি রক্ষার চেষ্টা করছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে একটি সৌন্দর্য বিষয়ক প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসেন নাফিজা তুষি। এর দুই বছর পর ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি পান। গত বছর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ নামের ওয়েব ফিল্মে কাজ করেও প্রশংসিত হন তিনি। তার ‘হাওয়া’সহ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।