
মহামারির কারণে গত বছর কানাডা বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পূর্ণকালীন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিলেন। আইআরসিসির উপাত্ত বলছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে তৃতীয় আকর্ষণীয় গন্তব্য হচ্ছে কানাডা। ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার শিক্ষার্থী কানাডায় পাড়ি দেন। এর মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। কানাডার প্রদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী গ্রহণ করে অন্টারিও। ২০১৯ সালে প্রদেশটিতে আসেন ৩ লাখ ৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী। সীমান্ত দিয়ে কোভিড-১৯ এর প্রবেশ বন্ধে কুইন’স পার্ক ইচ্ছুক নয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একই সময় ফেডারেল সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, অন্টারিওতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন বন্ধ করার দায়িত্ব প্রদেশের, অটোয়ার নয়।
জাস্টিন ট্রুডো গত শুক্রবার বলেন, গত সপ্তাহেও আমি এখানে বলেছিলাম, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। তারপরও গত মাসে অন্টারিওতে ৩০ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী প্রবেশ করেছেন। অন্টারিও সরকার অনুমোদন দেওয়ার কারণেই তারা আসতে পেরেছেন। প্রিমিয়ারের কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ ছাড়া অন্টারিও সরকার এ ব্যাপারে কিছুই করছে না। এর কোনো মানে হয় না এবং সত্যি কথা বলতে অন্টারিওবাসীর এতে কোনো উপকার হবে না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লাব্লাঙ্কের মুখপাত্র কেলি কুইমেট এ প্রসঙ্গে সানকে বলেন, প্রদেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করা অন্টারিও সরকারের দায়িত্ব। প্রদেশে কে ভ্রমণ করতে পারবে সে অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার প্রাদেশিক সরকারের। আটলান্টিক কানাডার ক্ষেত্রেও আমরা এমনটা দেখেছি। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি একসঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।