
৩০ বছরের তরুণ ইউরি ইভানিভ। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয়, তখনও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আবার হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। আবারও যুদ্ধ করতে বেরিয়ে পড়লেন তিনি।
ইভানিভ আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁর স্ত্রী ও ছয় বছরের ছেলে রয়েছে। তাদের জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ ব্যাগ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে দেশে ছেড়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিতে হয় কিনা, সেজন্যই এই প্রস্তুতি।
ইভানিভ আজ সকালে যখন বাড়ি ছাড়েন, তখনও তাঁর ছেলে ঘুমাচ্ছিল। ঘুমন্ত ছেলেকে চুমু খেয়ে বিদায় নেন তিনি। ইভানিভ বলেন, ‘যুদ্ধে যাচ্ছি। এটা আমাদের দেশ। আমি ভয় করি না। আমাকে যুদ্ধ করতেই হবে। ’
২০১৪ সালে যখন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করলেন, তখন কি মনে হয়েছিল আবার রাশিয়ার বিরুদ্ধ যুদ্ধ করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইভানিভের উত্তর, ‘না, কখনোই না। তিনি (পুতিন) আসলে একটা আস্ত পাগল । ’
ইউক্রেনে হামলা শুরু হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জনগণকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধে নামার আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, দেশ রক্ষায় যারাই এগিয়ে আসতে প্রস্তুত, তাদের হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নতুন এক নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছরের পুরুষরা। এই নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। নাগরিকদের সেই নির্দেশনা এখন থেকেই মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই বয়সের পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কারভাবে কিছুই জানানো হয়নি।