
বিশ্বব্যাপী মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্তে কঠোরতা আরোপ করে কানাডা। পাশাপাশি শীতে পরীক্ষার পাশাপাশি হোটেল কোয়ারেন্টিনের পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক সময়ের ভগ্নাংশে নেমে আসে। গত গ্রীষ্মে সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ আগের বছরের একই সময়ের ৯০ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়। স্থলপথ ও আকাশপথ দিয়ে মাত্র ৩৯ লাখ যাত্রী কানাডায় প্রবেশ করেন। ২০১৯ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল যেখানে ৯ কোটি ৪০ লাখ।
উত্তরপশ্চিম অন্টারিওতে মার্কিন সীমান্ত বরাবর রাইডিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থান্ডার বে-রেইনি রিভারের মালিক লিবারেল এমপি মার্কাস পোলোস্কি। তার মতে, গ্রীষ্মে মার্কিন পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল কানাডার হাজারো ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, এ বছরও যদি মার্কিন পর্যটকরা না আসেন তা হলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়বে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের জীবিকা হারাবে। পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড লোকজন বিশেষ করে মার্কিনীরা কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন কবে নাগাদ আমরা এই প্রশ্নের উত্তর পাব, আমার কাছে সেটা যৌক্তিক প্রশ্ন বলেই মনে হয়।
এদিকে, ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের কানাডায় প্রবেশ অথবা সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আগে কি করতে হতে পারে সেই মূল্যায়ন করছে কানাডা। দেশটির প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকা সীমান্ত চূড়ান্তভাবে কবে নাগাদ খুলবে সে নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠক করে হাউজ অব কমন্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ডা. তেরেসা ট্যামও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।
তেরেসা ট্যাম বলেন, এটা কেবল উভয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহীতারা কি করতে পারবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈঠক নয়। কানাডার নিজস্ব মহামারি পরিস্থিতিও আলোচনার বিষয় ছিল। এর মধ্যে রয়েছে দেশে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি, সংক্রমণের হার ও হাসপাতালের সক্ষমতা এবং ভ্যাকসিন সনদ।
তিন ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে তিনি বলেন, আংশিক বা পুর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড যাত্রীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নীতির বিষয়টি আমরা সক্রিয়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। সংক্রমণ ও ভ্যাকসিনেশনের দিক দিয়ে কানাডা ভালো অবস্থায় আছে বলি আমি মনে করি এবং আগামী ফলের মধ্যে কোভিড সংক্রান্ত নীতিতে কিছু পরিবর্তন আমরা আশা করতেই পারি। তারপরও ভ্রমণকারীদের কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, নতুন ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভেঙে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।