
দৈনন্দিনের নানা প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগের বিস্তারও। এ সব রোগের ভিড়ে যে রোগটির কথা প্রায়ই আমাদের শুনতে হয় তা হলো হৃদরোগ। অনিয়ন্ত্রিত খাবার আর জীবনযাপনে যেন এ রোগটির কাছে আমরা নিরূপায় হয়ে পড়ছি। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছেই। তাই কীভাবে আগে থেকেই বোঝা যাবে হৃদরোগের আশঙ্কা তা নিয়ে গবেষণা করে লন্ডনের এক দল গবেষক।
সম্প্রতি ইম্পিরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের এ গবেষণা এমন সব তথ্য প্রকাশ করেছে যা হৃদরোগটিকে নিয়ে আবারও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। আড়াই লাখেরও বেশি রোগীর মধ্যে গবেষণা করা হলে গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের সিআরপি লেভেল বেশি থাকে তাদের ট্রপোনিন টেস্ট পজিটিভ হয় ৷ আর এ কারণেই তাদের আগামী ৩ বছরের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ৩৫ শতাংশ ৷
ট্রোপোপিন এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন যা হার্টের বিভিন্ন অংশ ক্ষত হলে রক্ষক্ষরণের ফলে নির্গত হয়। গবেষকরা বলছেন, সঠিক সময়ে সি রিঅ্যাক্সিভ টেস্ট করালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যেতে পারে ৷ চিকিৎসা শাস্ত্রে সংক্ষেপে একে বলা হয় সিআরপি।
তাই ৩ বছর আগেই যদি জানতে চান আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা করিয়ে নিতে পারেন একটি সিআরপি টেস্ট। গবেষকরা আরও মনে করেন, সঠিক সময়ে সতর্কতা অবলম্বন এবং রোগীকে অ্যান্টি ইমপ্লেমেটরিজ ওষুধের সেবন নিশ্চিত করা গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ রিসার্চের জন্য অর্থ যোগানকারী ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন অধ্যাপক জেমস লিপার মনে করেন, চিকিৎসকদের মেডিকেল টুলও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু লক্ষণ চিহ্নিত করেছে ৷ বুকে ব্যথা বা চরম উৎকণ্ঠা হৃদরোগের ক্ষেত্রে সব থকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ দুর্বলতা, কোমরে ব্যথাও খারাপ কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে থাকে ৷
মানসিক উৎকণ্ঠা বা কাঁধে ব্যথা হলেও সময় থাকতে থাকতে সতর্ক থাকাটা প্রয়োজন ৷ আমেরিকার এই স্টাডিতে বলা হয়েছে, সারাদিনের মধ্যে ৪ ঘণ্টা যদি সক্রিয় থাকা যায় কিংবা কায়িক শ্রম করা যায় তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪৩ শতাংশ কমে আসতে পারে।
সূত্র: নিউজ১৮