
কানাডার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ অনুদান পেল গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) একটি হাসপাতাল নেটওয়ার্ক। ট্রিলিয়াম হেলথ পার্টনার্স মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদানের বিষয়টি জানায়। মিসিসোগা নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণ এবং কুইন্সওয়ে হেলথ সেন্টার উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
কানাডার ইতিহাসে একে হাসপাতালে সর্বৃবৃহৎ অনুদান হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রিলিয়াম হসপিটাল পার্টনার্স ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যারোলাইন রিসেবোরো এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐতিহাসিক এ অনুদানের জন্য আমরা পিটার গিলগান ও পিটার গিলগান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এর ফলে পশ্চিম জিটিএতে বসবাসকারী প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশে নতুন মানদ-ের সেবা ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ অনুদান। পিটার গিলগান হচ্ছেন কানাডার ইতিহাসে স্বাস্থ্য সেবা খাতে সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা। অনুদান গ্রহীতা হিসেবে ট্রিলিয়াম হেলথ পার্টনার্সকে তিনি ও তার পরিবার বেছে নেওয়ায় গর্বিত না হয়ে আমরা পারছি না।
অনুদানের ফলে দুটি হাসপাতালেরই গিলগানের নামে নামকরণ করা হবে। গিলগান মাটামি হোমসেরও প্রতিষ্ঠাতা। ট্রিলিয়াম হেলথ পার্টনার্সকে সহায়তা করতে পেরে রোমাঞ্চিত বলে জানান গিলগান। তিনি বলেন, কারণ এই অঞ্চলেই অনেক বছর আগে আমি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এই উপহার কমিউনিটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো। সেই সঙ্গে আমাদের দারুণ সব স্বাস্থ্য সেবা কর্মীর অঙ্গীকারের স্বীকৃতি দেওয়া।
অনুদানের ফলে ৬২ বছর পুরনো হাসপাতালটির নাম হবে পিটার গিলগান মিসিসোগা হসপিটাল। সেই সঙ্গে জটিল রোগের সেবা এবং পুনর্বাসনের জন্য কুইন্সওয়ে হেলথ সেন্টারে নতুন পেশেন্ট টাওয়ার যুক্ত করা হবে। প্রকল্পের ফলে আরও ৬০০ শয্যা যুক্ত হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
মিসিসোগা হাসপাতালের নির্মাণকাজ ২০২৫ সালে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর কুইন্সওয়ে হেলথ টাওয়ারের কাজ শুরু হওয়ার কথা ২০২৪ সালে। উভয় হাসপাতালই প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে তহবিলও পাবে। গত ডিসেম্বরে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছিলেন, আরও ৫০০ শয্যা বাড়াতে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বাড়তি পরিচালন তহবিলের জোগান দেওয়া হবে।