
অনাবশ্যক ভ্রমণ কমিয়ে আনার কৌশল হিসেবে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ করে কানাডা। এরপর কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা সোমবার। তার আগেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস অর্থাৎ ২১ জুলাই বাড়ানো হলো। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যদিও এই ইস্যুতে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে বলে স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডায় ভ্যাকসিনের গতি বাড়ায় সীমান্তের উভয় প্রান্তের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের কাছ থেকে ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল করার চাপ বাড়ছে। তবে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করতে ৭৫ শতাংশ কানাডিয়ানকে প্রথম ডোজ এবং ২০ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দিতে হবে। কারণ, উভয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহীতাও ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ ছাড়াতে পারে। ট্যুরিজম অপারেটর ও ভ্রমণের জন্য ইচ্ছুক কানাডিয়ানদের মধ্যে যে ধৈর্য্য ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার কোভিড-১৯ এর আরেকটি বিস্ফোরণ হতে দিতে চায় না।
এ সিদ্ধান্তের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে সমালোচনা করেছেন কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারপার্লামেন্টারি গ্রুপের কো-চেয়ার দুইজন কংগ্রেসম্যান। তারা হলেন ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান হিগিন্স ও মিশিগানের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বিল হুইজেঙ্গা।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন আসার পরও সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারের মতৈক্যে পৌঁছতে না পারাটা গ্রহণযোগ্য নয়।