
ফাইল ছবি
ভারতের কেরালার কোট্টায়াম জেলার পালা শহরের এক নারীর বিরুদ্ধে ছয় বছর ধরে তার স্বামীর খাবারে ওষুধ মেশানোর অভিযোগে উঠেছে। ৩৬ বছর বয়সী আশা সুরেশ নামে ওই নারীকে তার স্বামী সতীশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০০৬ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। শুরুর দিকে সতীশ ব্যবসায় সংগ্রাম করছিলেন, কিন্তু আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করার তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। ২০১২ সালে এই দম্পতি পালাক্কাদে নিজদের বাড়ি কেনেন।
অভিযোগের তথ্যমতে, আশা সতীশের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতেন। এভাবে চলার কিছুদিন পর সতীশ লক্ষ্য করেন তিনি শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে, চিকিৎসক জানান এটি লো সুগারের কারণে হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাওয়ার পরেও তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেনি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, সতীশ বাসার খাবার খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারেন তার শরীরের উন্নতি ঘটছে। তিনি তার স্ত্রীকে সন্দেহ করেন এবং বন্ধুকে বলেন আশা খাবারের সঙ্গে ওষুধ মেশাতেন কি না খুঁজে বের করতে।
যখন ওই বন্ধু আশা’র কাছে জানার চেষ্টা করেন তখন তিনি সতীশের খাবারে ওষুধ মেশানোর কথা ফাঁস করেন। এমনকি আশা তাকে হোয়াটস অ্যাপে খাবারে ওষুধ প্রয়োগের ছবিও পাঠান।
এরপর সতীশ বাড়ির ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেন এবং তাকে পুলিশে দেন।
পুলিশ জানায়, সতীশ তাকে কোনো সম্পত্তি না দেওয়ায় এ কাণ্ড করেছেন বলে আশা স্বীকার করেছে।