
যুক্তরাষ্ট্রের পর গত মাসে কোভিড রোগী নিয়ে কানাডায় সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট এসেছিল ইস্তানবুল থেকে। দেশটি থেকে জুনে মোট ২০টি ফ্লাইট টরন্টো, মন্ট্রিয়ল ও ভ্যানকুভারে অবতরণ করে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত যাত্রী নিয়ে এর পর সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট এসেছে প্যারিস থেকে ১৭টি, আমস্টার্ডাম থেকে ১৩টি, মেক্সিকো থেকে ১২টি, গুয়াতেমালা থেকে ৯টি, দোহা থেকে ৮টি এবং পানামা, মরক্কো, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও ইথিওপিয়া থেকে ছয়টি করে। তবে সংক্রমিত যাত্রী নিয়ে গত মাসে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট কানাডায় প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১টি। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার পর দেশটি থেকে আসা প্রথম ফ্লাইটেই বেশ কয়েকজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ৭৮৩ ফ্লাইটটি ২৫ জুন দুপুরে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ১৯ ফেব্রুয়ারির পর এটিই ছিল পাস্তিান থেকে কানাডায় আসা প্রথম ফ্লাইট। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমাতে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ফ্লাইট আসা ওই সময় বন্ধ ঘোষণা করেন ফেডারেল পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা।
হেলথ কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২৫ জুন পাকিস্তান থেকে আসা ফ্লাইটটির বেশ কয়েকজন যাত্রীর পরীক্ষায় কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়। তবে সংখ্যাটি কত সেটি প্রকাশ করা হয়নি।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত যাত্রী নিয়ে কানাডায় অবতরণকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা গত মাসে সামান্য বেড়েছে। হেলথ কানাডার উপাত্ত অনুযায়ী, গত জুনে এ ধরনের ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৬৯। মে মাসে যেখানে সংখ্যাটি ছিল ১১৩ এবং এপ্রিলে ২৮৮। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত যাত্রী নিয়ে জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট অবতরণ করে টরন্টোতে ৬৩টি। এছাড়া মন্ট্রিয়লে ৫৯, ভ্যানকুভারে ২৪ ও ক্যালগেরিতে ২২টি এ ধরনের ফ্লাইট অবতরণ করে মাসটিতে। পাকিস্তান তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠেছে এবং গত বুধবার দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৫৭ জন। তবে ভারতের পরিস্থিতি এখনও অতোটা সুখকর নয় এবং দেশটির সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধই থাকছে।