
ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে স্ক্রল করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু আপনি কি জানেন এতেই আপনি ডেকে আনছেন ভয়ংকর বিপদ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা একটি সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার পর বিজ্ঞানীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় থাকার ফলে মানসিক অবসাদের পাশাপাশি দেখা দিতে পারে শারীরিক অবসাদ, যার প্রভাব পড়ে সম্পর্কেও।
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে যে সব মাধ্যম ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল কমিউনিটি বা কৃত্রিম সমাজ গড়ে তোলা যায় তাকেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলা হচ্ছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় কিছু সাইট হলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসআপ, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি। এ সাইটগুলোতে দীর্ঘ সময় কাটালে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
গবেষকরা আরও জানান, কেউ ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদে থাকলে তা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপরে সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কিন্তু যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়া বেশি ব্যবহার করে তাহলে তার মধ্যে অবসাদ তৈরি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটালে কোনো লাভ হয় না। বরং মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়াও কাজ, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই সমীক্ষায় ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী হাজারেরও বেশি মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্তে আসেন, দিনে দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো উচিত নয়।
আরও পড়ুন: যে রঙের পোশাক পরলে মশা ভুলেও কামড়াবে না!
গবেষকরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বেশি সময় দেওয়ায় তারা গঠনমূলক কাজ করার সময় হারাচ্ছে। ফানি ভিডিও দেখে বা অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট না করে মূল্যবান সময়গুলো নিজের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা উচিত।