
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নে একটি হত্যা মামলার আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর কারাগার থেকে থানা পুলিশ রিমান্ডের আসামিকে প্রাইভেটকারে নিয়ে আসেন থানায়।
থানায় এসে পুলিশের হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নাড়ালেন হাত, দিলেন বক্তব্য, নিজেকে দাবি করলেন নির্দোষ, তার হাতে ছিল না হ্যান্ডকাফও। এটি আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন মানুষ করে লাইভ সম্প্রচার!
ঘটনাটি ঘটে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার। আর আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুল সদ্য শেষ হওয়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার গ্রামের বাড়ি শৈলকুপার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি প্রকাশ্য পেঁয়াজের ক্ষেতে হাতুড়িপেটা ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় কল্লোল খন্দকার নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিল্টন খন্দকার বাদী হয়ে জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ ৮২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ পাঁচ আসামি চলতি মাসের ২ তারিখ আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এরপর তাদের কারাগারে নেয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়।
রিমান্ডের আসামিদের নিয়ে পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যা মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই মিল্টন খন্দকার বলেন, সন্ধ্যা পরপরই রিমান্ডের আসামিদের ‘রাজকীয় খাতিরে’ মাইক্রো ও তিনটি প্রাইভেটকারে আনা হয় শৈলকুপা থানায়। ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন হ্যান্ড মাইক দেন রিমান্ডের আসামি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুলের হাতে। তিনি পুলিশ বক্সে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান, হাতে ছিল না হ্যান্ডকাফ। হ্যান্ড মাইকের বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে আসামির হাতে হ্যান্ড মাইক তুলে দেওয়া হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রিমান্ডের আসামিদের হ্যান্ডকাফ ছাড়া আনা, পুলিশের হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে বক্তব্য বা কথা বলার সুযোগ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।