
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ আধা বেলা হরতালের ডাক দিয়েছেন। শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালেই বাম গণতান্ত্রিক জোট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ আধা বেলা হরতালের ডাক দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি জানিয়েছেন। তিন দাবি হলো- দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় আনা, ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্র দুই কোটি পরিবারকে নিয়মিত রেশন দেওয়া এবং দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, জনগণের কথা সরকারের কানে প্রবেশের জন্য ২৮ মার্চ সব রাজনৈতিক দলের, সব মানুষের উচিত শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা।
শ্রমজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা ২৮ তারিখ বাসার বাইরে বের হবেন না। বের হলেও হরতালে যোগ দেওয়ার জন্য বের হবেন। সবাই মিলে দলমত-নির্বিশেষে যে যেভাবে পারেন ২৮ মার্চ এই হারতালের পালন করেন।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, দেশ কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এটা ১৯৭৪ সালের পূর্বাভাস। ১৯৭৪ সালে অনাহারে তিন লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। কয়েক মাস আগেও আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় উদ্বৃত্ত ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এখন সেটা ৪৩ বিলিয়ন ডলারে চলে এসেছে। এই চার বিলিয়ন কোথায় গেল? এই চার বিলিয়ন ডলার দিয়ে তো কয়েক বছর সারা দেশে দু-তিন কোটি পরিবারকে রেশন দেওয়া যেত।
এ সময় হরতালের সমর্থন জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের সব উন্নয়ন ধসে পড়ে, যখন জনগণ টিসিবির গাড়ির পেছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।