যখন নিরাপদ মনে হবে তখন সব খাতে একই সময়ে মাস্ক পরিধানের ওপর থেকে বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হবে বলে মনে করেন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। পর্যায়ক্রমে এটা হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।
১৪ মার্চের মধ্যে এলিমেন্টারি সেকেন্ডারি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মাস্ক পরিধানের ওপর থেকে বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কুইবেক। চূড়ান্তভাবে অন্যান্য সরকারি স্থাপনার ইনডোর থেকে মাস্ক পরিধানের বিধান প্রত্যাহারেরও রাস্তা করে দেবে এ পদক্ষেপ।
তবে বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে ডা. কিয়েরান মুর বলেন, অন্টারিওর সে পথে হয়তো হাঁটবে না। এর বদলে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা স্থান যেমন পাবলিক ট্রানজিট ও হাসপাতাল বাদে পুরোপুরি মাস্ক পরিধানের বিধি প্রত্যাহারের দিকে নজর দিচ্ছে প্রদেশ।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে এবং সিদ্ধান্তের জন্য আমরা স্কুল বোর্ড, বাবা-মা ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। তবে আমরা সরকারি খাতের ওপর থেকে মাস্ক পরিধানের বিধি প্রত্যাহার করলে একই সঙ্গে স্কুলের ওপর থেকেও তা তুলে নেওয়া উচিত। আপনি যদি বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য ইনডোর স্থাপনা থেকে এটি প্রত্যাহার করে নেন তাহলে একইসঙ্গে শিক্ষা খাতের ওপর থেকেও তুলে নেওয়ার একটা যৌক্তিকতা থাকবে।
বর্তমানে অন্টারিওর গ্রেড ১ ও গ্রেড ২ এর সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে মাস্ক পরিধান করতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষে এ উদ্যোগ। প্রাদেশিক এ নীতি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী পর্যন্ত সম্প্রসারণ না করায় গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অধিকাংশ বোর্ড ওইসব গ্রেডের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে মাস্ক পরিধানের বিধান প্রত্যাহারকে সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান টরন্টোর মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা। তিনি শুধু বলেন, তিনি চান পর্যায়ক্রমিক ও ধাপভিত্তিক উদ্যোগ।
যদিও ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেছেন, শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে স্কুলে মাস্ক পরিধানের বিধান প্রত্যাহারের কথা জোরেশোরে চিন্তা করছেন তিনি।
১৪ মার্চের মধ্যে স্কুলসহ অন্যান্য পাবলিক স্থাপনার ইনডোরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিধান প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউ ব্রান্সউইক।