
হেলথ কানাডা গত শুক্রবার এক ঘোষণায় জানায়, ফাইজারের পর দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে মডার্না ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে। পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীনভাকে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে হেলথ কানাডা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম মডার্নার ভ্যাকসিন। একই সঙ্গে এটা নিরাপদও। মডার্নার ভ্যাকসিন ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কেবলমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন মে মাস থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন (এনএসিআই) শুক্রবার জানিয়েছে, উভয় ভ্যাকসিনই করোনাভাইরাস থেকে তরুণদের সুরক্ষা দিতে খুবই কার্যকর।
এনএসিআই ভ্যাকসিন দুটির বিষয়ে সুপারিশের ক্ষেত্রে মায়োকার্ডাইটিস ও পেরিকার্ডাইটিসের যে বিরল ঘটনা তাও বিবেচনায় নিয়েছে। এ ধরনের সমস্যা প্রতি ১ লাখ ভ্যাকসিন গ্রহীতার মধ্যে একজনেরও কম মানুষের ক্ষেত্রে দেখা দেয়। কানাডায় এখন পর্যন্ত যারা ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ৫৫৭ জনের মধ্যে উপসর্গ দুটি দেখা দিয়েছে।
১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে মডার্নার ভ্যাকসিন প্রয়োগের খবরটি এমন এক সময় এলা যখন কানাডার শিশুদের স্কুলে ফিরতে বাকি মাত্র সপ্তাহখানেক। সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, অন্টারিওতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৬১ শতাংশ ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ করেছে। এই বয়সীদের মধ্যে অন্তত এক ডোজ নিয়েছে ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত অন্টারিও ১ কোটি ৭৩ লাখ ডোজের বেশি ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। মডার্নার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে ৭৬ লাখ ডোজ। মডার্নার ভ্যাকসিনের এই অনুমোদন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের হার বাড়িয়ে দেবে।