
নগরে বসবাসকারীদের পক্ষে শব্দদূষণ এড়ানোর সুযোগ নেই। ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠছে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নগর পরিকল্পনাবিদরা।
শহরে কোলাহল কেবলমাত্র বিরক্তকরই নয়, এটা শীর্ষ পরিবেশগত ঝুঁকিও। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অন্তত তাই বলছে।
শহরে শব্দদূষণের প্রধান উৎস হলো যানবাহন। শব্দ নিয়ে গবেষণাকারী ও রায়ারসন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক টর ওইআমোর মতে, টরন্টোতে শহুরে শব্দদূষণের ৬০ শতাংশের জন্য দায়ী যানবাহন। তিনি বলেন, যত বেশি শব্দের মধ্যে থাকবেন হৃদরোগের ঝুঁকি তত বেড়ে যাবে, যা আপনার হৃদপিন্ডের গঠন বদলে দিতে পারে। এর ফলে হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, যা হার্ট অ্যাটাকের দিকে নিয়ে যায় এবং সম্ভাব্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ওইআমো বলেন, অযাচিত শব্দকে নয়েজ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। মানুষ যখন উচ্চ শব্দের সম্মুখীন হয় তখন তা ব্যক্তির ওপর চাপ তৈরি করে। দীর্ঘকাল এটা ঘটতে থাকলে শরীরের ওপর স্থায়ী প্রভাব পড়ে। এটা খুবই উদ্বেগের। নগরগুলো অব্যাহতভাবে অটোমোবাইল ঘিরে গড়ে উঠছে, যা বায়ু দূষণ তো ঘটাচ্ছেই একইভাবে শব্দদূষণেরও কারণ হয়ে উঠছে। এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। অটোমোবাইলের ওপর আমরা এতোটাই নির্ভরশীল যে, এটাকে এখন আমাদের পৃথিবীর অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে জনগণ। একই সঙ্গে এটাকে কীভাবে উপেক্ষা করা যায় তাও শিখে গিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শব্দদূষণকে উপেক্ষা করার সুযোগ সত্যিই আপনার নেই।
তিনি বলেন, পথচারীদের গুরুত্ব দিয়ে নগরের পরিকল্পনা করার সুযোগ নগর পরিকল্পনাবিদদের রয়েছে। সেজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা, যার অভাব রয়েছে। শব্দ কমানোর শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক ইচ্ছা এই মুহূর্তে আমি দেখছি না।