
চুয়াডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে মাসুমা খাতুন নামের এক মাদরাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, এক বখাটে তাকে উত্যক্ত করতো, তাই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন মাসুমা। এ ঘটনায় রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা। মাসুমা স্থানীয় রেলবাজার আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি হকপাড়ার চা দোকানি আমিনুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শহরের আরামপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম প্রায়ই তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। শুক্রবার সকালে রেলস্টেশন সংলগ্ন চায়ের দোকান পরিষ্কার করতে যায় মাসুমা। আমিনুল জানান, সেখানে মাসুমাকে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয় কালাম। রাজি না হওয়ায় তাকে মারধরও করে সে। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা সালিশের কথা বলেন। কিন্তু গত দুই দিনেও হয়নি সেই সালিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, রোববার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেন মাসুমা। পরে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায় মাসুমা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত বখাটে যুবক ও তার পরিবার। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।