5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কানাডায় ম্যারাথন দৌঁড়ে অংশ নিলেন তিন বাংলাদেশি

কানাডায় ম্যারাথন দৌঁড়ে অংশ নিলেন তিন বাংলাদেশি - the Bengali Times
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন খোকন খোকনচন্দ্র সিকদার নবাংশু শেখর দাস ও প্রশান্ত রায়

কানাডার ক্যালগারিতে ১৯৬৩ সাল থেকে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। এবার নবমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে প্রতিযোগিতাটি। কিশোর থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সের মানুষই এবারের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছেন। ক্যাটাগরিগুলো হলো- আলট্রা-৫০ কিলোমিটার, ফুল- ৪২.২ কিলোমিটার, হাফ ২১.১ কিলোমিটার। করোনা মহামারির জন্য ভার্চুয়াল ও সরাসরি ২ ফরমেটে ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের ঐতিহ্যবাহী ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছেন ৩ বাংলাদেশি। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন খোকন খোকনচন্দ্র সিকদার, নবাংশু শেখর দাস ও প্রশান্ত রায়।

এর মধ্যে খোকন সিকদার এবং নবাংশু শেখর দাস ক্যালগরির স্থায়ী বাসিন্দা। সদ্য শেষ হওয়া ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা কানাডায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিলো। ২০২১ এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হলেও খোকনচন্দ্র সিকদার, নবাংশু শেখর দাস ও প্রশান্ত রায় ২০১৯ সাল থেকে এতে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। করোনা মহামারির সময়ে ব্যাপক বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও চলতি বছর প্রায় ৭৫০০ জন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন।

- Advertisement -

কানাডার প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ খোকন চন্দ্র সিকদার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আমরা তিন বন্ধু প্রধমবারের মতো ম্যারাথনে অংশ নিলাম। মাতৃভূমির প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি মানুষদের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা শহরগুলোতেও দৌড় বা সাইক্লিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে অল্পতেই অসুস্থ হওয়া, ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।

তাছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেয়ার স্বপ্ন দেখেছেন প্রশান্ত রায়ও। সেই কারণেই তিনি বাংলাদেশ থেকে ছুটে গেছেন সুদূর ক্যালগারিতে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বপ্ন পূরণ এবং তা সম্ভব হয়েছে কেবল খোকন সিকদারের একান্ত ইচ্ছায়।

প্রশান্ত রায় আরও বলেন, মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অন্যতম উপায় হলো দৌড়। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেকে একে কষ্টের মনে করেন। কিন্তু একবার দৌড়ানো শুরু করলে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আসবে এবং এটি উপলব্ধির পর কেউই ছাড়তে পারবে না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles