
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আইসিবিএম উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করছেন, যেটিকে তার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলছে, একটি নতুন ধরনের অস্ত্র, ছবি: রয়টার্স
উত্তর কোরিয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সম্ভবত তাদের কাছে ‘আরও বেশি’ মজুত রয়েছে। এখন পিয়ংইয়ংয়ের এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ভাবনায় ফেলেছে বিশ্বকে। এ জন্য জাতিসংঘে তাদের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর আলজাজিরা ও এএফপির
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গত বৃহস্পতিবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরুর পর পিয়ংইয়ংকে কড়া বার্তা পাঠাতে চীন-রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের পর এটা তাদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পূর্ণমাত্রা পরীক্ষা, যা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় চালানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘লম্বা লড়াই’য়ের জন্য প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জালিনা পোর্টার এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়ার এই পরীক্ষার ধরনকে উস্কানি হিসেবে দেখছি। আমরা মনে করি, এগুলোর অনেক মজুত দেশটিতে রয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের এসব ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে সাজানো হয়েছে। এর আগে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। তবে উত্তর কোরিয়া শুরু থেকেই বলে আসছে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এগুলো করা হচ্ছে, যা তাদের অধিকার। তারা এ গুলোর কর্মসূচি বন্ধ করবে না।
২০১৭ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে হুয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল দেশটি। পরে ২০২০ সালে তা প্রদর্শন করে। তবে এবার এ মডেলের বিশাল আকৃতি দেখে অভিজ্ঞ বিশ্নেষকরাও বিস্মিত হয়েছেন।
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার জানায়, সবশেষ পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটির উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করেছে।
শুক্রবার জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, উত্তর কোরিয়ার আসন্ন পরীক্ষার আগে অবশ্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন।