
টরন্টোর পার্শ্ববতি ইয়র্ক রিজিয়নের একটি এলিমেন্টরি স্কুলের স্পেশাল নিডস কিডসদের এক শ্রেণী শিক্ষিকা তার এক ছাত্রের বাবাকে খুব আগ্রহের সাথে একটা খুশির খবর জানাতে গিয়ে বললেন, “মিষ্টার অমুক, আমি প্রেগনেন্ট।”
ছাত্রের বাবা তার প্রতি উত্তরে বললেন, “ওহ, নো।”
ছাত্রের বাবার এ উত্তরে শিক্ষিকা খুব মর্মাহত হলেন। কিন্তুু ছাত্রের বাবাকে বুঝতে দিলেন না। শিক্ষিকা আশা করেছিলেন “কনগ্রাচুলেশন। গ্লাড টু হিয়ার দ্যাট গুড নিউজ।” এ রকম উত্তর। কারন এটা তার প্রথম প্রেগনেন্ট হওয়া। স্কুলের সকলকে সে খবর দিয়ে বেড়াচ্ছে।
ছাত্রের বাবা
আসলে উত্তরটা ভেবে চিন্তে দেননি। ইনস্ট্যান্ট তার যা মনে হয়েছে তাই বলেছেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষিকাটি ইটালিয়ান কানাডিয়ান আর ছাত্রের বাবা হচ্ছেন পাকিস্তানি কানাডিয়ান। আমরা সাউথ এশিয়ান ইমিগ্রান্ট প্যারেন্টসদের অনেকেই বিশেষকরে পুরুষরা (সবাই না) এধরনের সংবাদ শোনার সাথে অভ্যস্ত নই। বিশেষ করে একজন স্বল্পপরিচিত নারীর মুখ থেকে তার প্রেগন্যান্ট হওয়ার বিষয়টি শোনা একটু কী রকম যেন মনে হয়! আমরা মনে করি প্রেগন্যান্ট হওয়ার বিষয়টি গোপনীয়; এটা কী ঘটা করে বলার কী আছে? কারন এর সাথে নানা ট্যাবু জড়িত। কালচারাল ভিন্নতার কারনে এ ধরনের ভুলবোঝাবুঝি তৈরী হয় অনেক।
শিক্ষিকাটি হয়ত মনে করতে পারে, স্কুলে তার ছেলেকে প্রতিদিন সে ওয়েলকাল করে, টেককেয়ার করে, কত কী শেখায়; অথচ তার অনাগত বাচ্চাকে তার ছাত্রের বাবা ওয়েলকাম করল না। তার ভিতরে একটা কষ্ট দানা বেধেঁ উঠতেই পারে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে শিক্ষিকাকে জনে জনে এ খবর বলা দরকার কী?
স্কুলে তার শিক্ষার্থীদের সেফটি ও ওয়েলনেসের জন্য শিক্ষিকার দায়িত্ব অনেক, আবার নিজের সেফটি ওয়েলনেসও তাকে দেখতে হবে। কারন সে স্পেশাল নিডস বাচ্চাদের শিক্ষিকা। ক্লাশে তাকে শারিরীকভাবে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। বাচ্চাদের রেসট্রেইনও করতে হয় মাঝে মাঝে। কাজেই সে সবাইকে জানিয়ে রাখছে যে, সে প্রেগন্যান্ট। তাহলে সবাই হয়ত একটু সচেতন ও সতর্ক থাকবে।
শিক্ষক ও প্যারেন্টস উভয়ই একে অন্যের সংস্কৃতি বুঝতে পারলে এই অনাকাংখিত ঘটনাটি সহজেই এড়ানো যেত। সে জন্য সচেতনতা জরুরী।
টরন্টো, কানাডা