
সিলেটে জন্ম নেওয়া মানুষটি যখন ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পদক নিচ্ছিলেন, অনেক বন্ধুর মতো আমারও কৌতুহল হয়েছিল কে তিনি। পত্রপত্রিকা পড়ে জানলাম ১২৫ বছরের নিরোগ এই মানুষটি গত ৫০ বছর ধরে কুষ্ঠ রোগীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করে আছেন। মাটিতে মাদুরের উপর ঘুমান তিনি। তাঁর বালিশ হলো একটি কাঠের তক্তা। ছয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারানো এই মানুষটি পৃথিবীর সকল মানুষকে পিতা ও মাতা জ্ঞান করেন। তিনি বলেন মানুষের সেবা করাই তাঁর ধর্ম। সামান্য এক ধুতি-কুর্তা পরা মানুষটি যখন খালি পায়ে পুরস্কার গ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে মাটিতে মাথা ঠুকে প্রণাম করেছিলেন, তখন তা সম্মানিত উপস্থিতির মনে বিস্ময় জাগায়। প্রত্যুত্তরে সমবেত উপস্থিতি দাঁড়িয়ে (standing ovation) সম্মান জানান এই নিয়মিত যোগসাধন করা মানুষটিকে।
স্বামী শিবানন্দ আপনাকে প্রণাম ও অভিনন্দন জানাই। যে সমাজে সারল্যকে বোকামি বিবেচনা করা হয়, সেই সমাজে জন্ম নিয়ে সারল্যের কারণেই আপনি আজ রাষ্ট্রীয় এই সম্মান পেলেন। আপনার সারল্যকে শ্রদ্ধা জানাই।
পুনশ্চ: অনেক পরে জানলাম চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের জন্য তিনি ১৯২৫ সালে বিলেত গমন করেন।
বিলেত থেকেই পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন। আরও জানলাম চিকিৎসা সেবা দিতে তিনি গ্রিস, ফ্রান্স, মাল্টা, স্পেন, সমগ্র ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, চিন, জাপান ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
পুনরায় পুনশ্চ: পুনশ্চতে দেওয়া তথ্যটির সত্যমিথ্যা আমি জানি না। এগুলো আমি পেয়েছিলাম তাঁর এক ঘনিষ্ঠ জনের দেওয়া পোস্ট থেকে। তথ্যটি পুরোটা ভুল হলেও হতে পারে। তিনি স্কুলেও জাননি – হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবছি যে মানুষটি স্কুলেই যাননি, তিনি ব্যাকরণগতভাবে এতো শুদ্ধ ইংরেজি বাক্য বলেন কীভাবে টিভি ইন্টার্ভিউতে?
ইস্টইয়র্ক, অন্টারিও, কানাডা